"বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়ানো পোস্ট এড়িয়ে চলুন" : কলকাতা পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৬ আগস্ট, কলকাতা : কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সরকারি শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। রবিবার থেকে সেই আন্দোলনের উত্তাপ বাড়তে থাকে। যার পরিণতি সোমবার চরমে পৌঁছেছে। পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন যে প্রতিবেশী দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে কেউ কোনও ধরণের বিভ্রান্তিকর পোস্ট করবেন না। তিনি সকল রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি জনগণকে বিতর্কিত পোস্ট এড়ানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে রাজ্য পুলিশের নজরদারি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন অনেকে। নানা ধরনের বিতর্কিত ছবি পোস্ট করছেন তারা। এ ধরনের পোস্ট এড়িয়ে চলুন।
এদিকে লালবাজার কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই কলকাতা পুলিশের তাঁবুতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লালবাজারের প্রায় ১৫ থেকে ২০ পুলিশ আধিকারিক সরকারি নিরাপত্তায় রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশের অশান্ত পরিস্থিতির আলো যেন এদেশে না পড়ে সেজন্য বিএসএফও ইতিমধ্যেই সতর্ক রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষভাবে নজরদারি করা হয়েছে। সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফের, তবে নবান্নও প্রস্তুত। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সন্দেহ হলে রাজ্য পুলিশকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment