ছেলের মায়েদের উচিৎ শিক্ষা দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 30 August 2024

ছেলের মায়েদের উচিৎ শিক্ষা দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী

 



ছেলের মায়েদের উচিৎ শিক্ষা দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ আগস্ট: আরজিকর ঘটনা প্রসঙ্গে এখনো উত্তাল সমাজ মাধ্যম। বিচার আজও অধরা। তবে শুধু এই একটি ঘটনা নয়, আধুনিক সমাজেও যেভাবে দিনে দিনে রেপ সংস্কৃতি মাথা চারা দিচ্ছে তাতে ভীত সমাজের একটা অংশ। এর পরোক্ষ কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষার অভাব। ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে বৈষম্যকরণ। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন সমাজ মাধ্যমে। ছেলেদের মায়েদের কী করা উচিত, সেই পোস্ট শেয়ার করেছেন সুদীপ্তা।


রেপ সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হলে সমাজ সংস্কারের প্রয়োজন তা সকলেই মানছেন। জনৈক অদিতি রায় নামের একজন মায়ের পোষ্ট ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল পোস্ট শেয়ার করে নেন সুদীপ্তাও। তাতে লেখা আছে, ছেলের বয়স পাঁচ পেরোনোর পর থেকে তাকে আর খালি গায়ে ঘুরতে দেওয়া যাবে না। অন্তত স্যান্ডো গেঞ্জি হলেও পরতে হবে। যত্রতত্র খোলাস্থানে মূত্র বিসর্জন করা যাবে না। প্যান্টে হাত ঢুকিয়ে প্রাইভেট পার্ট নিয়ে খেলতে দেওয়া যাবে না। এবং মায়েরা যেন সবসময় শাড়ি এবং নাইটিতে নিজেদের মুড়ে না রেখে মাঝেমধ্যে টি শার্ট, শর্টসও পরেন। এতে ছেলের চোখে ব্যাপারটা স্বাভাবিক হবে।


ছেলের বয়স ১০ হলে তাকে পিরিয়ডস সম্পর্কে জানাতে হবে বলে মনে করেন অদিতি। এই সময় কী কি কষ্ট হয়, না হলে কী কী কষ্ট হয় বিজ্ঞানসম্মতভাবে মায়েরাই বোঝাবেন ছেলেদের। রোজকার ঘরের কাজে তাকে সাহায্য করতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে অন্তর্বাস নিয়েও ট্যাবু রাখা যাবে না। অন্তর্বাস কেন পরেন তাকে বলুন। ছেলেরা ইমোশনাল হয়ে পড়লে তাকে কাঁদতে দিন। আসলে লেখিকার কথায়, মায়ের সঙ্গে ছেলেদের জীবনযাত্রা যত বেশি সরল হবে, সে অন্য নারীদেরও তত সম্মান করবে।



এই মন্তব্য প্রসঙ্গে অনেকেই সমর্থন করছেন অদিতির লেখাটিকে। তবে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্যও করছেন। প্রশ্ন উঠছে মা যদি শর্টস পরতে স্বচ্ছন্দ না হন তাহলে তিনি কেন পরবেন? আবার কারও মন্তব্য, এতোটুকু বাচ্চার মাথার মধ্যে ছেলে ও মেয়ের তফাৎ না ঢোকানোই ভালো। কিছু কিছু ছেলের জন্য সব ছেলেদের খারাপ না ভাবাই উচিৎ।


তবে সমাজ মাধ্যমে নেটিজেনদের একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন এই ভাবনাকে। মাই পারেন তার সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে। ছেলের চোখে মাই প্রথম নারী। অতএব মায়েরা সচেতন হলে তবেই ছেলেদের সচেতন করা যাবে। কেউ কেউ বলছেন তারা ইতিমধ্যেই তাদের সন্তানদের এই শিক্ষা দিতে শুরু করে দিয়েছেন। সমাজ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এই বার্তা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad