বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৮ আগস্ট, কলকাতা : প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে মারা যান তিনি। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই প্রয়াত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই সময়ে তিনি খুব দুঃখিত অনুভব করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সে লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গেছি। এই মুহূর্তে আমি খুব দু:খিত বোধ করছি। এই শোকের সময়ে মীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমি সিপিআই(এম) দলের সকল সদস্য-সদস্যা, সমর্থক এবং তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ঘরের বাইরে যেতেন না। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রতিবারই সংগ্রাম করে বাড়ি ফিরেছেন। গত বছর তাঁকে শেষবার আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত বছর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালে বুদ্ধদেব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এ সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ভালো হয়ে যান।
১৯৭২ সালে, বুদ্ধদেব সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক হন। ১৯৭৭ সালে, তিনি কাশিপুর-বেলগাছিয়া আসন থেকে প্রথমবারের মতো বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে, বুদ্ধদেব রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন।
বুদ্ধদেব বাবু দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জে পাম অ্যাভিনিউতে দুই কক্ষের একটি ফ্ল্যাটে সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর পরনে থাকত সাদা পাঞ্জাবি। কণ্ঠের গাম্ভীর্য, শব্দচারণ, স্পষ্ট উচ্চারণে বাংলায় কথা বলা সব মিলিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজের ছাপ রেখে গেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে প্রভাব পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
No comments:
Post a Comment