তিন বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধ-র্ষণ, সরকারকে নিশানা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

 

তিন বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধ-র্ষণ, সরকারকে নিশানা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর 

 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ আগস্ট: তিন বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুরে। মন্দিরের বাইরে মায়ের পাশে ঘুমাচ্ছিল শিশুটি। তিনি আবর্জনা সংগ্ৰহ করেন। অভিযোগ এক ব্যক্তি আইসক্রিম দেওয়ার অজুহাতে শিশুটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের লালসার শিকার করে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রবিবার (১৮ আগস্ট) তিনি এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন যে, যোধপুরে একটি ৩ বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা মর্মান্তিক। এ ঘটনায় জনমনে গভীর ক্ষোভ বিরাজ করছে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, "এই ধরনের ঘটনা রাজস্থানের মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। সরকার ও পুলিশের সর্তক কম হওয়ায় অপরাধীদের নির্ভীক হয়ে ওঠার উদাহরণ। যোধপুরে কখনও দিনেদুপুরে গুলি, লুটপাট, খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার কাছে অনেক বার আবেদন করেছি, রাজ্যে অপরাধ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য।"

যোধপুরে তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা মর্মান্তিক। এ ঘটনায় জনমনে গভীর ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ধরনের ঘটনা রাজস্থানের মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে। 

রাজস্থান কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারাও এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি এক্স পোস্ট করে লিখেছেন যে, 'যোধপুরে একটি নিষ্পাপ মেয়ের সঙ্গে পাশবিকতা সমাজ ও সিস্টেমের কলঙ্ক। নৃশংস অপরাধ করা অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি পাওয়া উচিৎ। রাজস্থানে আইন-শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ অবনতি হয়েছে, মহিলাদের নিরাপত্তার কোনও চিহ্ন নেই। যোধপুর, বারমের, পালি, নাগৌর, ঝুনঝুনু এবং আলওয়ারে ধর্ষণের ঘটনা সাধারণ মানুষকে বাকরুদ্ধ করেছে।'

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসিপি অনিল কুমার বলেন- শনিবার রাতে মেয়েটি মন্দিরে মায়ের কাছে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১২টা নাগাদ মেয়েটিকে আইসক্রিম খাওয়ানোর অজুহাতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত এবং তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ৬টার দিকে তাকে ওড়নায় জড়িয়ে রাস্তায় ফেলে যায়।

এসিপি জানান- সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পশুখাদ্য বিক্রিরত এক মহিলা মন্দিরের কাছে এলে মেয়েটিকে ওড়নায় মোড়ানো দেখে পরিবারকে খবর দেন। মেয়েটির বাবা-মা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। প্রায় ২ ঘন্টা পর পুলিশে খবর দেয় পরিবার। পুলিশ মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

এডিসিপি (সিকাউ) লাভু রাম বলেছেন- পুলিশ অভয় কমান্ড সেন্টারের ক্যামেরার ফুটেজ অনুসন্ধান করেছে, যেখানে অভিযুক্তকে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরেছে। বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্তর মোবাইল লোকেশন সরদারপুরা হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সিসিটিভি ফুটেজ এলে সে তার ফোন বন্ধ করে দেয়। তবে প্রযুক্তিগত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ঘন্টাঘর থেকে হেফাজতে নেয়। অভিযুক্ত একজন অভ্যস্ত মাতাল। তার ১৯ বছর বয়সী ছেলে এবং তার স্ত্রী আলাদা থাকেন। নিষ্পাপ শিশুর সঙ্গে পাশবিক অত্যাচারের পর সর্দারপুরার চায়ের দোকানে কাজ করতে যায় অভিযুক্তরা।

মেয়েটির বাবা বলেন- আমরা ২ ঘন্টা পর্যন্ত জানতেই পারিনি মেয়ের সঙ্গে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেছে। রক্ত দেখে বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে। তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন ছিল এবং তার পিঠও থেঁতলে গেছে। এরপর আমরা পুলিশকে খবর দেই।