আরজি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আবেদন, ৫ টি দাবী জানিয়ে চিঠি আইএমএ-এর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 18 August 2024

আরজি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আবেদন, ৫ টি দাবী জানিয়ে চিঠি আইএমএ-এর


আরজি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আবেদন, ৫ টি দাবী জানিয়ে চিঠি আইএমএ-এর 




প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ আগস্ট: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষেরা। ১৭ আগস্ট দেশ জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এই আবহেই ঘটনায় হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছে আইএমএ। এতে আইএমএ লিখেছে যে, “৯ আগস্ট, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের স্নাতকোত্তর ছাত্রীকে কর্তব্যরত অবস্থায় নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনা চিকিত্সক মহল এবং গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এর পাশাপাশি ১৫ আগস্ট ভিড় হাসপাতালে ভাংচুর করে, যাতে ঘটনাস্থল-সহ হাসপাতালের অনেক অংশ ভাংচুর করা হয়। পেশার প্রকৃতির কারণে চিকিৎসকরা, বিশেষ করে মহিলা চিকিৎসকরা সহিংসতার শিকার হন। হাসপাতাল ও চত্বরে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আধিকারিকদের কাজ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা হাসপাতালে সহিংসতা প্রকাশ করেছে।


শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা চিঠিতে আইএমএ বলেছে যে, "মহিলাদের জন্য নিরাপদ জায়গার অভাবের কারণে, অপরাধ বড় আকারে ঘটছে। নিরাপত্তা প্রোটোকলের অভাব ভাঙচুরের দিকে পরিচালিত করে। এই অপরাধ ও বর্বরতা সারা দেশের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আজ সারাদেশে চিকিৎসকরা শুধু জরুরি অবস্থাতেই সেবা দিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে এই ৫ দাবী করেছে চিকিৎসক সংগঠন -

১. ১৮৯৭ সালের মহামারী রোগ আইন ২০২০-এর সংশোধনের (স্বাস্থ্যসেবা ব্যক্তিগত ও ক্লিনিক্যাল ইনস্টিটিউশন বিল-২০১৯-এ সহিংসতা এবং সম্পত্তির ক্ষতি নিষিদ্ধকরণ) খসড়াতে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্রীয় আইন হোট। এটি ২৫টি রাজ্যকে শক্তিশালী করবে।


 


২. সমস্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রোটোকল কোনও বিমানবন্দরের চেয়ে কম হওয়া উচিৎ নয়। বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা অধিকার সহ হাসপাতালগুলিকে সেফ জোন ঘোষণা করা উচিৎ। হাসপাতালে সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন এবং প্রটোকল মেনে চলা হোক। 


 ৩. ভুক্তভোগী ৩৬-ঘন্টা ডিউটি শিফটে কাজ করছিলেন, তাই বিশ্রামের কক্ষের অভাবের পাশাপাশি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য নিরাপদ জায়গার কারণে রেজিডেন্ট ডাক্তারদের কাজ করখ এবং জীবনযাত্রার অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজন।


 ৪. যেকোনও অপরাধের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সতর্কতার সাথে এবং পেশাদারভাবে তদন্ত করা হোক ন্যায়বিচার মিলুক।


 ৫. শোকাহত পরিবারকে উপযুক্ত ও সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। 


এর পাশাপাশি, সরকার কর্তৃক কমিটি গঠনের বিষয়ে আইএমএ বলেছে যে, প্রতিবাদ এখনও শেষ হয়নি। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, 'আমরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি অধ্যয়ন করছি। যেখানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তার রাজ্য শাখার সাথে সমস্ত দিক বিবেচনা এবং আলোচনার পরে প্রতিক্রিয়া জানাবে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad