প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৮ আগস্ট, কলকাতা : প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ মারা যান তিনি। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই প্রয়াত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। তিনি ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে বাংলার রাজনীতিতে এক যুগের অবসান ঘটল।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ঘরের বাইরে যেতেন না। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রতিবারই সংগ্রাম করে বাড়ি ফিরেছেন। গত বছর তাঁকে শেষবার আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত বছর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালে বুদ্ধদেব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এ সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ভালো হয়ে যান।
তিনি ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ দশকের বর্ণিল রাজনীতিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উজ্জ্বল নাম। তিনি দীর্ঘদিন পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। রাজ্যে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা তাদের দুর্গ হারায়। ৩৪ বছর বয়সী বাম দলের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
১৯৭২ সালে, বুদ্ধদেব সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক হন। ১৯৭৭ সালে, তিনি কাশিপুর-বেলগাছিয়া আসন থেকে প্রথমবারের মতো বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে, বুদ্ধদেব রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন।
বুদ্ধদেব বাবু দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জে পাম অ্যাভিনিউতে দুই কক্ষের একটি ফ্ল্যাটে সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর পরনে থাকত সাদা পাঞ্জাবি। কণ্ঠের গাম্ভীর্য, শব্দচারণ, স্পষ্ট উচ্চারণে বাংলায় কথা বলা সব মিলিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজের ছাপ রেখে গেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে প্রভাব পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
No comments:
Post a Comment