রাতে ঘাম হয়?জেনে নিন কারণ
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৬ আগস্ট: গরমের কারণে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।কিন্তু গরম না থাকলেও রাতে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে তা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
প্রবল সূর্যালোক,তাপপ্রবাহ এবং আর্দ্রতার কারণে সারা দেশে উত্তাপের কারণে হাহাকার চলছে।বৃষ্টির কারণে বাতাসে আর্দ্রতা এতটাই বেড়ে গেছে যে,দিনের বেলা ঘর থেকে বের হলেই ঘামতে থাকে মানুষ।সূর্যের আলো এবং আর্দ্রতার কারণে ঘাম হওয়া সাধারণ।তবে অনেকের ঘুমের সময়ও রাতে ঘাম হয়।রাতে ঘামের সমস্যা শুধু গ্রীষ্মেই নয় শীতকালেও দেখা যায়।লক্ষণীয় বিষয় হল বেশিরভাগ মানুষ এটিকে উপেক্ষা করে।রাতে ঘামের কারণ কী এবং এটি প্রতিরোধ করার জন্য কী করা উচিৎ সেই সম্পর্কে লোকেরা সচেতন নয়।অন্ত্র এবং হরমোন স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক ডায়েটিশিয়ান মনপ্রীত কালরা-র থেকে এটি সম্পর্কে জেনে নিন।
রাতে ঘামের কারণ কী?
ডায়েটিশিয়ান মনপ্রীত কালরা বলেন,রাতে ঘাম হওয়ার প্রধান কারণ হলো শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীন মাত্রা।কিছু ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা,মানসিক চাপ এবং ঘুম সংক্রান্ত সমস্যার কারণেও মানুষ রাতে ঘামে।মহিলারা প্রি-মেনোপজের সময় রাতের ঘামের সমস্যার মুখোমুখি হন।একটি বীজের মিশ্রণ আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেই এটি সম্পর্কে।
রাতে ঘামের সমস্যা দূর করবে যে বীজের মিশ্রণ -
বিশেষজ্ঞদের মতে,রাতে ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি বাড়িতে এই বীজের মিশ্রণ তৈরি করে খেতে পারেন।
উপাদান:
২ টেবিল চামচ কুমড়ো বীজ,
২ টেবিল চামচ শণ বীজ,
২ টেবিল চামচ মৌরি বীজ।
তৈরির পদ্ধতি -
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে প্রথমে একটি প্যান গ্যাসে গরম করুন।গরম প্যানে কুমড়োর বীজ,শণের বীজ এবং মৌরির বীজ যোগ করুন।মৃদু আঁচে সব বীজ ভাজুন।এই মিশ্রণটি ঠান্ডা করুন।একটি গ্রাইন্ডারে ভাজা বীজের মিশ্রণটি রাখুন এবং এটি একটি মিহি গুঁড়ো হিসাবে প্রস্তুত করুন।
বীজের মিশ্রণটি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।তৈরি হয়ে গেলে একটি বায়ুরোধী পাত্রে মিশ্রণটি সংরক্ষণ করুন।এই মিশ্রণটি প্রতিদিন ১ চা চামচ জলের সাথে খান।বীজের এই মিশ্রণটি খাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই রাতের ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আপনার যদি দীর্ঘ সময় ধরে রাতের ঘামের সমস্যা থাকে তবে এটি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খাবারে পুষ্টির অভাব এবং লিভার সঠিকভাবে কাজ না করার কারণেও রাতে ঘাম হয়।তাই এই বিষয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলা জরুরী,যাতে তিনি ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে রাতে আপনার ঘামের কারণ জানতে পারেন।
No comments:
Post a Comment