স্ত্রীকে গাউন পরতে বাধা! জামাইকে বেধড়ক মার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 16 August 2024

স্ত্রীকে গাউন পরতে বাধা! জামাইকে বেধড়ক মার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের

 


স্ত্রীকে গাউন পরতে বাধা! জামাইকে বেধড়ক মার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের 

 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ আগস্ট: মেয়েকে গাউন পরতে বাধা দেওয়ায় জামাইকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি যোধপুরের বানার থানা এলাকার। এই ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন মহিলা ও যুবককে তোলপাড় করতে দেখা গেছে। এখন এই ভিডিওটির বিষয়ে জামাইয়ের পক্ষ থেকে রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টির তদন্তও শুরু করেছে।


জানা গিয়েছে, বানারের বাসিন্দা পিন্টুর বিয়ে হয়েছিল যোধপুরের মাসুরিয়া এলাকার বাসিন্দা শীতলের সঙ্গে। পিন্টু বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে যোধপুরের রাইকা বাগে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর সাথে থাকেন। বছরের পর বছর রাইকায় থাকার সুবাদে আশপাশের এলাকায়ও তাঁর আত্মীয়স্বজন রয়েছে। এমতাবস্থায় পিন্টু তাঁর স্ত্রী শীতলের পোশাক নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেন, 'পরিবারের সদস্যরাও বাড়ির আশেপাশে থাকেন এবং পরিবারের সদস্যদের সামনে গাউন পরা ভালো দেখায় না।'


যেদিন পিন্টু শীতলকে গাউন পরতে বাধা দেয়, সেদিন দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। কথা কাটাকাটি এতটাই বেড়ে যায় যে শীতল তাঁর স্বামী পিন্টুকে তাঁকে বাপের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। স্ত্রী শীতলকে সেখানে রেখে পিন্টু তাঁর বাবা সুরেশের বাড়িতে রাতের খাবার খেতে যায়। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পর পিন্টুর শ্বশুর বাড়ির প্রায় এক ডজন মহিলা ও পুরুষ তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে যায়। শ্বশুর বাড়ি থেকে আসা এই লোকজন পিন্টু ও তাঁর পরিবারকে বাইরে ডেকে মারধর শুরু করেন।


শীতলের পরিবারের লোকজন শুধু পিন্টুকেই মারধর করেননি, তাঁর বাবা সুরেশ ও তাঁর মাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন আশেপাশের কেউ পুরো ঘটনার ভিডিও করেন। এখন এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। এই পুরো ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার রামু রাম জানিয়েছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে সুরেশ নামে একজন ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন।


সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযোগকারী সুরেশের ছেলে ও পুত্রবধূ দুজনেই রাইকাবাগে অবস্থিত তাঁর পৈতৃক বাড়িতে থাকেন। সুরেশ বলেন, 'প্রায় ২৫ দিন আগে আমার ছেলে পিন্টু বানার নন্দাদীর স্থিত আমার বাড়িতে আসে খাবার খাওয়ার জন্য। এই সময় পেছন পেছন শ্বশুরবাড়ি পক্ষের এক ডজন মহিলা-পুরুষ আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং আমাদের সঙ্গে মারামারি শুরু করে দেয়। বাড়ির বাইরে পার্কিং করা যানবাহন ভাঙচুর করার পাশাপাশি বাড়িঘরও ভাঙচুর করে। সেইসঙ্গে বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলা হয়েছে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad