আরজি কর কাণ্ডের জের, চিকিৎসক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 20 August 2024

আরজি কর কাণ্ডের জের, চিকিৎসক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের


আরজি কর কাণ্ডের জের, চিকিৎসক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের 




প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ আগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে‌ শীর্ষ আদালত। ২২ আগস্টের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছ থেকে টাস্ক স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ১০ সদস্যের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (NTF) গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে মেডিক্যাল সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত আধিকারিক হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সহ কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরি করে দিয়েছে।


জাতীয় টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তকে সরকারও স্বাগত জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পরিবর্তনের জন্য আর একটি ধর্ষণের অপেক্ষা করা যেতে পারে না। এমতাবস্থায় অবিলম্বে টাস্কফোর্স তৈরি করা প্রয়োজন। টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের নাম নিম্নরূপ-


 ডাঃ এম শ্রীনিবাস (ডিরেক্টর এইমস দিল্লী)।


এ ছাড়া টাস্কফোর্সে সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পরীক্ষক বোর্ডের চেয়ারম্যান।


তীক্ষ্ণ মন্তব্য করে সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন যে, হাসপাতালে নার্স এবং মহিলা ডাক্তারদের জন্য আলাদা বিশ্রামাগারও নেই। রাতের শিফটে যানবাহনের সুবিধাও দেওয়া হয় না। হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরাও ঠিকমতো কাজ করে না এবং হাসপাতালে অস্ত্রের বিষয়ে সতর্কতাও নেওয়া হয় না। এমতাবস্থায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। 


সুপ্রিম কোর্ট এনটিএফকে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে বলেছে যাতে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করা যায়। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট অ্যাকশন প্ল্যানও বলেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জরুরি কক্ষে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। অস্ত্রশস্ত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত স্ক্রিনিং হওয়া উচিৎ। রোগী না থাকলে অপ্রয়োজনীয় লোকজনকে হাসপাতালে যেন প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়। এ ছাড়া ভিড় নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী প্রস্তুত রাখতে হবে।


ডাক্তার ও নার্সদের জন্য পুরুষ ও মহিলাদের হিসেবে আলাদা বিশ্রাম কক্ষ এবং কমনরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ধরনের জায়গায় বায়োমেট্রিক এবং শারীরিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা উচিৎ। এসব স্থানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকতে হবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত যানবাহনের সুবিধা দিতে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad