বয়ঃসন্ধিকালে আপনার সন্তানকে শেখাবেন যে বিষয়গুলো - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 27 August 2024

বয়ঃসন্ধিকালে আপনার সন্তানকে শেখাবেন যে বিষয়গুলো


বয়ঃসন্ধিকালে আপনার সন্তানকে শেখাবেন যে বিষয়গুলো

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৭ আগস্ট: ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন ঘটে।তাই এই বয়সে তাদের সঠিক এবং ভুল শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আসুন জেনে নেই এই বয়সে তাদের কী কী বিষয় শেখানো উচিৎ।

১৩ থেকে ১৬ বছর বয়স এমন হয় যখন কিশোর-কিশোরীদের শুধুমাত্র শারীরিক বিকাশেই নয়,মানসিক অবস্থাতেও অনেক পরিবর্তন ঘটে।এই বয়সে তাদের আবেগও তাদের শীর্ষে থাকে, তা সে কিছু জানার কৌতূহল হোক,খুশি হোক বা রাগ।তাই এই বয়সে তাদের খুব ভেবেচিন্তে পরিচালনা করতে হবে।এই বয়সে তাদের যদি কিছু বিষয় শেখানো হয়,তবে তা শুধু তার বর্তমানের জন্যই উপকারী নয়,তার ভবিষ্যৎকে উন্নত করার জন্যও এটি প্রয়োজন।

বড় স্কুলে যতই ভালো শিক্ষা দেওয়া হোক না কেন,প্রতিটি দক্ষতা শেখানো হোক না কেন,কিন্তু আচরণ করার ধরন, পৃথিবীকে বোঝার দৃষ্টিভঙ্গি,সঠিক ও অন্যায়ের পার্থক্য, বাবা-মায়ের চেয়ে ভালো কেউ শেখাতে পারে না।আসুন জেনে নেই বয়ঃসন্ধিকালে কী কী বিষয় শেখানো জরুরি।

চেহারা অগ্রাধিকার নয় -

শিশুরা যখন কিশোর হয়,তারা তাদের চেহারা নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে।এই বয়সে তাদের বোঝানো খুব গুরুত্বপূর্ণ যে তাদের চেহারার ভিত্তিতে নিজেকে বা অন্য কাউকে বিচার করা উচিৎ নয়।এর চেয়ে বেশি পড়াশোনা এবং নতুন দক্ষতার উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধু কম হোক,কিন্তু ভালো হোক -

সন্তানের ভালো ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অল্প বয়সেই তাকে শেখানো উচিৎ যে সে কম বন্ধুত্ব করলেও এমন লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করুক যাদের ভালো সঙ্গ রয়েছে এবং যারা তাকে পড়াশুনা ও ভালো কাজে সাহায্য করে।

সমবয়সীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করা -

সব বয়সের মানুষই সমবয়সীর চাপে ভোগেন।কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে তারা ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে।তারা তাদের বন্ধুদের মত দামী ফোন বা জুতো,কাপড়, খেলনা ইত্যাদি চায়।আপনার সন্তানকে শেখান যেন নিজেকে অন্য কারও সাথে তুলনা না করে।সে যেই হোক এবং তার কাছে যা কিছু আছে তা তার জন্য সেরা।

কিভাবে দায়িত্ব নিতে হয় তা শেখানো গুরুত্বপূর্ণ -

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে হবে।এছাড়া বাড়িতে নেওয়া ছোট ছোট সিদ্ধান্তেও তাদের মতামত নিতে হবে।এতে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে শক্তিশালী হবে এবং দায়িত্বশীলও হবে।

আবেগ প্রকাশ করতে শেখান -

অনেক সময় যখন একটি শিশু নতুন কিছু জিজ্ঞাসা করে বা এমন বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলে যা আজও আমাদের সমাজে খুব কমই বলা হয়,তখন অভিভাবকরা তাদের বকাঝকা করে চুপ করিয়ে দেন।এই কারণে শিশুরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না এবং তারপর ধীরে ধীরে সেগুলি লুকিয়ে রাখতে শুরু করে।তাই সন্তান যা বলে তা মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং তার সাথে আরামে এবং ভালোবাসার সাথে বসুন এবং তাকে বিস্তারিতভাবে বলুন।এর মাধ্যমে তারা তাদের অনুভূতি ও চিন্তাভাবনা আপনার সাথে শেয়ার করতে শিখবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad