মানুষের জীবনে দুবার আসে বার্ধক্যের ঢেউ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 18 August 2024

মানুষের জীবনে দুবার আসে বার্ধক্যের ঢেউ


মানুষের জীবনে দুবার আসে বার্ধক্যের ঢেউ

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৮ আগস্ট: হঠাৎ একদিন আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার মুখে বলিরেখা দেখা যাচ্ছে,শরীরে ব্যথা হচ্ছে,দুর্বল লাগছে।এগুলো এমন একটি অনুভূতি যা রাতারাতি এসেছে।কিন্তু এটা যে তা না,এর রহস্য আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোমিক্স অ্যান্ড পার্সোনালাইজড মেডিসিন সেন্টারের অধ্যাপক ড.মাইকেল স্নাইডার এই গবেষণা করেছেন।তিনি বলেন,আমরা ধীরে ধীরে বুড়ো হচ্ছি না।একটা সময় আসে যখন এই প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়।

তিনি ২৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সীদের অধ্যয়ন করেছিলেন।তিনি জানতে পেরেছিলেন যে ৭৫ বছর বেঁচে থাকা ব্যক্তির জীবনে দুটি বছর রয়েছে,যখন তার উপর দ্রুত বার্ধক্যের ঢেউ আসে।  প্রথমটি ৪৪ বছরে এবং দ্বিতীয়টি ৬০ বছরে।

এই দুই বছরে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে - পেশীর সমস্যা,হাড় সম্পর্কিত সমস্যা,হার্ট সম্পর্কিত  বা পালমোনারি সমস্যা ইত্যাদি।৪০ থেকে ৪৯ এর মধ্যে বয়স খুবই নাটকীয়।৬০ বছর বয়সে একই জিনিস ঘটে।এই গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার এজিং-এ প্রকাশিত হয়েছে। 

এই গবেষণাটি ১০৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর করা হয়েছিল।  তিনি তাদের রক্ত,মল ও ত্বকের নমুনা দিয়েছেন।এছাড়াও মুখ এবং নাক থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছেন।সাত বছর ধরে তাকে এই সব নমুনা দিতে হয়েছে,তাও প্রতি মাসে।এর থেকে বিজ্ঞানীরা ১.৩৫ লক্ষ বিভিন্ন অণু খুঁজে পেয়েছেন।যার মধ্যে আরএনএ,প্রোটিন এবং মেটাবোলাইট উপস্থিত ছিল। 

এগুলো ছাড়াও জীবাণু পাওয়া গেছে।যেটিতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস,ছত্রাক ছিল- যা এই মানুষদের নমুনা থেকে পাওয়া গেছে।বেশিরভাগ অণু এবং জীবাণু একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বেড়ে উঠছিল না,কোনও ঘটনাক্রম ছিল না।কিন্তু নমুনা নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যারা তাদের ৪০ এবং ৬০ এর দশকে ছিল,তাদের কণা এবং জীবাণুগুলি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছিল। 

৪০-এর দশকে মহিলাদের মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটে তা হল পেরিমেনোপসাল।মেনোপজ ছাড়া পুরুষদের শারীরিক পরিবর্তন নারীদের মতই।পেরিমেনোপজ মহিলাদের মধ্যে ৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে।পুরুষদের মধ্যেও তাদের ৪০-এর দশকে অনেক পরিবর্তন ঘটে।যার কারণে তাদেরও বার্ধক্যের কবলে পড়তে হয়।

প্রথম তরঙ্গে অর্থাৎ ৪৪ বছরে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে তা কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে আসে।যেমন- এটি ক্যাফেইন,অ্যালকোহল এবং লিপিড দ্বারা সৃষ্ট হয়।দ্বিতীয় তরঙ্গে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে অর্থাৎ ৬০ বছর বয়সে,তা আসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা,কার্বোহাইড্রেট বিপাক এবং কিডনি সংক্রান্ত রোগের দুর্বলতার কারণে। 

ত্বক এবং পেশীগুলির সাথে যুক্ত অণুগুলি ৪৪ এবং ৬০ বছর বয়সে পরিবর্তিত হয়।তাই বলিরেখা,ব্যথা এবং দুর্বলতা অনুভূত হয়।যা ৬০ এর দশকে আলঝাইমার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগে অগ্রসর হয়।তখন শরীরের অন্যান্য সমস্যাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad