গ্ৰেফতারের আশঙ্কা! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে সুখেন্দু শেখর রায়
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ আগস্ট, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন। মেয়েদের রাত দখলের ডাক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একাধিক পোস্ট করেন। এরপর লালবাজারের তরফে তলবও করা হয়, কিন্তু সেখানে যাননি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এবারে গ্ৰেফতারির আশঙ্কায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন সাংসদ। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছেন রক্ষাকবচের। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সোমবার তাঁকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।
পুলিশ কমিশনার ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবী জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি এবং সেই বিষয়ে সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেন সুখেন্দু শেখর রায়। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্নও তোলেন তিনি। এরপরেই লালবাজারের তরফে তাঁকে তলব করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, দু'বার তলবের পরেও সাংসদ সেখানে যাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে লালবাজারে রবিবার বিকেল ৪ টের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। তিনি তা এড়িয়ে যান। এরপর সোমবার তাঁকে ফের তলব করে লালবাজার। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিনও তিনি লালবাজারে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
লালবাজারকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন,পরে যাবেন। তাঁকে সময় দিতে হবে। সঙে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। উল্লেখ করেছেন, ফুসফুস সংক্রান্ত চিকিৎসা চলছে তাঁর, তাই চিকিৎসকরা আপাতত বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।' তবে তাঁর আশঙ্কা যে কোনও সময় গ্ৰেফতার হতে পারেন তিনি। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সাংসদ।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "সিবিআইকে স্বচ্ছ ভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। অবশ্যই জানতে হবে, কে কেন আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল? হলের দেওয়াল কেন ভাঙা হল? ৩ দিন পরে কেন স্নিফার ডগ ঘটনাস্থলে? এমন শতাধিক প্রশ্ন রয়েছে।"
No comments:
Post a Comment