বাংলাদেশে ফের বিক্ষোভ! নিষিদ্ধ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 3 August 2024

বাংলাদেশে ফের বিক্ষোভ! নিষিদ্ধ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া


বাংলাদেশে ফের বিক্ষোভ! নিষিদ্ধ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া 



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৩ আগস্ট: বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে শুক্রবার আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জুলাই মাসে চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর বিচারের দাবীতে এই বিক্ষোভগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শুক্রবার হাসিনা সরকার ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে।


গ্লোবাল আইজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার থেকেই সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আগে তুরস্ক একই ধরণের পদক্ষেপ করে ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশ সরকার মোবাইলে দুপুর ১২টার পর মেটা প্ল্যাটফর্মের নেটওয়ার্ক সীমিত করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেটের গতিও অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে ভিপিএন ব্যবহার করেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা না যায়। সবার প্রথম ১৭ই জুলাই ইন্টারনেটবন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল নেটওয়ার্কে নিষেধাজ্ঞা ছিল।


রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দুই হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল, যাদের মধ্যে কেউ কেউ 'স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে' এবং 'ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার'-এর মতো স্লোগান দিচ্ছিল, যখন পুলিশ কর্তারা তাদের চারপাশে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়েছিলেন। ঢাকার উত্তরা এলাকায় পুলিশ এবং কয়েক ডজন শিক্ষার্থী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যখন নিরাপত্তা আধিকারিকরা পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।


উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত মাস থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছে এবং বর্তমানেও এই বিক্ষোভগুলি কমার কোনও লক্ষণ নেই। ১৫ জুলাই সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনার জন্য বিক্ষোভ-প্রদর্শন বড় সংকটে পরিণত হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ মোকাবেলা করার জন্য, কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় এবং দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিয়ে কারফিউ জারি করে। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad