উত্তরের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির জেরে সতর্কতা, রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গেও
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৫ আগস্ট, কলকাতা : আর নিম্নচাপের ভ্রুকুটি নেই। গঙ্গার তীরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ রবিবার থেকে রাজ্য থেকে সরে যেতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে নিম্নচাপটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন দক্ষিণ উত্তর প্রদেশের ওপরে অবস্থান করছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সোমবার, উত্তর ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম সহ দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় বজ্রঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি আগামী কয়েকদিন প্রধানত মেঘলা থাকবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ৬ থেকে ৮ আগস্ট কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
আগামী দুদিন দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বাড়বে। প্রধানত দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৬ আগস্ট দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বৃষ্টি এবং বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে।
উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে বাড়বে। আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায় সোমবার থেকে খুব ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। উত্তরবঙ্গে নদ-নদীর জলস্তর বাড়বে। উত্তরবঙ্গের নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে।
গত সপ্তাহ থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের অনেক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া রবিবার রাত পর্যন্ত ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এর জেরে বাঁকুড়া, বর্ধমান সহ বহু জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই কমেছে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃষ্টির ঘাটতি ২২% কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায়। হাওয়া অফিস বলছে, ওই সময়ে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি আরও কমবে।
No comments:
Post a Comment