চিনির চেয়ে মধু ভালো কেন?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ আগস্ট: ভারতীয় রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে,যা স্বাস্থ্যের জন্য অগণিত উপকার দিতে পারে।এই জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে মধু,যা অনেক ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ বলে বিবেচিত হয়।হাজার বছর ধরে মধু প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।আজও অনেকে চিনির পরিবর্তে এটি খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন।যেহেতু মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়,তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।এখন প্রশ্ন হল,মধু কী সত্যিই চিনির চেয়ে কোটি গুণ ভালো?
চিনি এবং মধু উভয়ই ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ দিয়ে তৈরি।মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়।যেখানে চিনি ডায়াবেটিস সহ শরীরের অনেক মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে।আসুন জেনে নেই চিনির চেয়ে মধু কেন ভালো।
পুষ্টিতে পূর্ণ -
মধুতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।যেখানে চিনি একটি প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট,যার পুষ্টির অভাব রয়েছে।মধুতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম,ভিটামিন এবং মিনারেল,যা শরীরের বিভিন্ন উপকার করে।যেমন- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা,ফোলার সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় ইত্যাদি।
কম গ্লাইসেমিক সূচক -
চিনির তুলনায় মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম।যার স্পষ্ট অর্থ হল এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কোনও টেনশন নেই।
ভালো হজম হয় -
মধু হজম করা কঠিন নয়।কারণ এতে রয়েছে এনজাইম যা কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে কাজ করে।যেখানে চিনি রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।
কম ক্যালরি -
মধু মিষ্টি হলেও এতে ক্যালরির পরিমাণ চিনির তুলনায় অনেক কম।আপনি যদি কম ক্যালরির পাশাপাশি মিষ্টি খেতে চান, তাহলে আপনি মধুকে আপনার ডায়েটের একটি অংশ করতে পারেন।
এনার্জি বৃদ্ধিকারী -
ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা মধুতে পাওয়া যায়,যা আসলে শক্তি বৃদ্ধিকারী হিসাবে বিবেচিত হয়।শরীর এটি সহজেই শোষণ করে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।যেখানে চিনি শোষণ করা?অতিরিক্ত চিনি খেলে গ্লাইকেশনের সমস্যা হতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment