খোলা নর্দমায় ভাসছে মহিলার মৃতদেহ, চাঞ্চল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ০৪ আগস্ট: কয়েক দিন আগেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণীর। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে খোলা মুখ নর্দমায় পড়ে মৃত্যু হল মাঝবয়সী এক মহিলার। ঘটনাস্থল সেই হাওড়া। প্রশ্ন উঠছে শহরের যেখানে জল জমার সমস্যা রয়েছে, সেখানে খোলা হাই ড্রেন থাকা কতটা যুক্তিসঙ্গত? এতে কি বিপদের সম্ভাবনা বাড়ছে না?
রবিবার সাত সকালে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডের ধারে খোলা হাই ড্রেনে এক মাঝ বয়সী মহিলাকে মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখা যায়। সেই সময় হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মীরা নর্দমা পরিষ্কার করছিলেন। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সেটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ব্যস্ত কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কীভাবে হাইড্রেন খোলা অবস্থায় থাকল? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ওই ড্রেনের মুখ খোলা অবস্থায় আছে। তার পাশ দিয়েই যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কোনও ভাবে ওই মহিলা নর্দমার সামনে চলে যাওয়ায় পা পিছলে ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান। স্থানীয়দের দাবী, ড্রেনের খোলা মুখ বন্ধ করে দেওয়া হোক।
এদিকে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর দেখভালের দায়িত্ব ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার। তবে পুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভালো রাখার জন্য হাই ড্রেনের ওপর ফাঁকা জায়গা রাখা হয়, যাতে পাম্পের সাহায্য জল বের করে দেওয়া যায়। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে।
No comments:
Post a Comment