লেবাননে ২০০০ বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০০
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর : লেবাননে উগ্রবাদীসংগঠন হিজবুল্লাহর ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইজরায়েল। গত এক সপ্তাহে ইজরায়েল ২০০০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জন নিহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এখন তাদের সৈন্যদের সীমান্তে পাহারায় দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইজরায়েলি সূত্র বলছে, হামাসের মতোই স্থল হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহকে নির্মূল করার প্রস্তুতি রয়েছে। যদি এটি ঘটে তবে এটি একটি ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হবে কারণ হিজবুল্লাহও বিশ্বের বৃহত্তম সন্ত্রাসী সংগঠন। অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় এটির একটি বড় সেনাবাহিনী রয়েছে এবং এক লাখ জঙ্গি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
এদিকে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ভারতও তার নাগরিকদের অবিলম্বে লেবানন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যারা লেবাননে যেতে চেয়েছিলেন তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ইজরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই যুদ্ধ আমেরিকা, ইউরোপ থেকে এশিয়া পর্যন্ত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। একদিকে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে, অন্যদিকে ইরান বলছে, হিজবুল্লাহর ওপর স্থল হামলা হলে আমরা সব রকমভাবে সমর্থন করব।
প্রকৃতপক্ষে, বুধবার হিজবুল্লাহ এমনকি ইজরায়েলের তেল আবিবকেও টার্গেট করেছে। তিনি ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অফিস লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করেছেন। এখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হিজবুল্লাহকে নির্মূল না করা পর্যন্ত আমাদের সেনাবাহিনী থামবে না। একই সঙ্গে আমেরিকা তার সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও ইজরায়েলকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি লেবাননে স্থল হামলার কোনও প্রয়োজন নেই। এদিকে আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বলে আলোচনা চলছে। আমেরিকা ও আরব দেশগুলো চায় হিজবুল্লাহ ও ইজরায়েল ২১ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করুক। এর পর আরও কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা উচিত।" এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও সংঘাত বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment