'কাঠের পুতুল মুখ্যমন্ত্রী', অতিশী দিল্লীর আসন পেতেই খোঁচা বিজেপির
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৭ সেপ্টেম্বর: দিল্লীর নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন অতিশী। আম আদমি পার্টির বিধায়ক দলের সভায়, তাঁকে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। কেজরিওয়ালের জায়গায় এখন দিল্লী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন অতিশী। এই নিয়েই এবারে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। অতিশীকে দিল্লীর কাঠের পুতুল মুখ্যমন্ত্রী বলে আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে বিজেপির কটাক্ষ তিনি কেজরিওয়ালের কাঠের পুতুল। উল্লেখ্য, কেজরিওয়াল নিজেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য অতিশীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
সূত্রের খবর, দিল্লী সরকারে কোনও ডেপুটি সিএম থাকবে না। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অতিশী। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ২৬ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। দিল্লীর তৃতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন অতিশী। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভার সবচেয়ে হেভিওয়েট মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর নামটি সবার আগে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর দৌঁড়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার সকালে আপ (AAP) আহ্বায়ক কেজরিওয়ালের সিভিল লাইনস বাসভবনে বিধায়ক দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এতে সর্বসম্মতিক্রমে নতুন নেতা সদন নির্বাচিত হয়।
অতিশী পাঞ্জাবি রাজপুত পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। অতিশী ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ সালে প্রথমবার কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী হন। এখন মাত্র এক বছর পর ২০২৪ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। এর আগে, তিনি ২০১৯ সালে পূর্ব লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং বিজেপি প্রার্থী গৌতম গম্ভীরের কাছে ৪.৭৭ লক্ষ ভোটে হেরেছিলেন এবং তৃতীয় হয়েছিলেন। ২০২০ সালে প্রথম কালকাজি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন অতিশী। তিনি ১১ হাজার ৩৯৩ ভোটে বিজেপি প্রার্থী ধরমবীর সিংকে পরাজিত করেন।
অতিশীর জন্ম ১৯৮১ সালের ৮ জুন দিল্লীতে। তাঁর বাবার নাম বিজয় সিং, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। অতিশী স্প্রিংডেল স্কুল, নিউ দিল্লী থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সেন্ট স্টিফেন কলেজে ইতিহাস নিয়ে পড়েন এবং স্কলারশিপে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কয়েক বছর পরে, তিনি শিক্ষাগত গবেষণায় রোডস স্কলার হিসেবে অক্সফোর্ড থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামে সাত বছর কাটিয়েছেন, যেখানে তিনি জৈব চাষ এবং প্রগতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত হয়েছিলেন। তিনি সেখানে বেশ কয়েকটি অলাভজনক সংস্থার সাথে কাজ করেছিলেন, যেখানে তিনি প্রথম কয়েকজন আপ সদস্যের সাথে দেখা করেছিলেন এবং পার্টির গঠনের সময়ই যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, মদ কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরিওয়াল গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। এর পরে, তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেন, দু'দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
No comments:
Post a Comment