দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়া, ২৬ সেপ্টেম্বর: ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল, সিলিংয়ের অংশও ভেঙ্গে পড়ছে যখন তখন, দেওয়াল জুড়ে শ্যাওলার ছোপ ছোপ দাগ। এর মধ্যেই এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৮৪ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এই বেহাল চিত্র বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের রানিবাঁধের ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জেলার জঙ্গল মহলের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। এখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিয়ে বর্তমানে অনেকেই চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন পেশায় দেশের নানান প্রান্তে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিন জন শিক্ষক ও এক জন পার্শ্ব শিক্ষক রয়েছেন এই বিদ্যালয়ে। পড়াশোনার মান যথেষ্ট সন্তোষজনক হলেও ভগ্নপ্রায় স্কুলঘরে ছেলে-মেয়েদের পাঠাতে ভয় করে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
প্রধান শিক্ষক সুনীল বরণ মণ্ডল বলেন, যা পরিস্থিতি, তাতে ছাত্র ছাত্রীদের সূরক্ষার কথা ভেবে একটি ঘর বন্ধ রাখতে হয়েছে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার থেকে বিডিও প্রত্যেককেই স্কুল বাড়ির ভগ্ন দশার কথা জানিয়েছি।' কিন্তু এখনও কাজ হয়নি বলেই তিনি জানান।
সিপিআইএমের রানিবাঁধ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মধুসূদন মাহাতোর দাবী, বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। একের পর এক স্কুল বন্ধ, হোস্টেলগুলিও বন্ধের মুখে বলে তিনি দাবী করেন।
রানিবাঁধ তৃণমূলের সভাপতি তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চিত্ত মাহাতো ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, সর্বশিক্ষা মিশন এই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে। তারা না পারলে রাজ্য সরকার এই কাজ করবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে, এই বিষয়ে রানিবাঁধ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, 'ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের বিষয়টি জেলা স্তরে জানানো হয়েছে। আশা করা যায় খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।'
No comments:
Post a Comment