প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের পথে কাঁটা স্বামী! খুন করে শ্রীঘরে স্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৩ সেপ্টেম্বর: বিয়ের কয়েক বছর পরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই সন্তানের মা। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান স্বামী। আর সেই কাঁটা উপড়ে ফেলতেই স্বামীকে খুন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস, পুলিশের জালে গুণধর স্ত্রী। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীর এই প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্বামী। বারবার প্রতিবাদ করতে থাকেন এই ঘটনার এবং এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এই কারণেই ওই বধূ তার স্বামীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ই আগস্ট হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মালিওয়রের বাসিন্দা সুফল সাহার মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁর স্ত্রী আশা সাহা দাবী করেন, কলের পাড়ে পড়ে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ দেখে পুলিশের মনে খটকা লাগে। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। আর সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই গুণধর স্ত্রীর মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস। রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, সুফল সাহাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে।
সুফলের পরিবারের লোকেরাও জানতেন তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক এবং তাঁদের ঝগড়া-বিবাদের কথা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কথা জানার পর তাদের কাছেও সবটা স্পষ্ট হয়। আশা সাহার বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুফলের দাদা জ্যোতিষ সাহা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আশাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে এদিন (শুক্রবার) অভিযুক্তকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান একা সুফলের স্ত্রীয়ের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। এতে তার সেই প্রেমিক বা আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে। সেই জন্যই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সমস্তটা খতিয়ে দেখতে চাইছে।
অন্যদিকে সুফল সাহার দাদার দাবী, তাদের এই ঝগড়া দীর্ঘদিনের। বাড়িতে দুই নাবালক সন্তান থাকতেও তার ভ্রাতৃবধূ অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁর ভাই মাঝে পথের কাঁটা ছিল। তাই তাঁকে এই ভাবে খুন করা হল। দোষী বা দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবী জানিয়েছে পরিবারের লোকেরা।
অন্যদিকে, দুই নাবালক সন্তান কোথায় থাকবে এই নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন পরিবারের অন্যানরা।
No comments:
Post a Comment