"শিখদের প্রতি গান্ধী পরিবারের পুরনো ঘৃণা", রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ সেপ্টেম্বর : আমেরিকায় কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর দেওয়া এক বিবৃতি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আসলে, রাহুল গান্ধী ভার্জিনিয়ায় বলেন যে আজ ভারতে লড়াই চলছে যে একজন শিখ তার পাগড়ি পরতে পারবে কি না, সে গুরুদ্বারে যেতে পারবে কি না। এই বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর সমালোচনা হচ্ছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায়কে অপমান করার অভিযোগ আনা হচ্ছে।
রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসা। সিরসা বলেছেন যে রাহুল গান্ধী এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া এবং শিখদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো নতুন কিছু নয়। শিখদের প্রতি গান্ধী পরিবারের পুরনো বিদ্বেষ রয়েছে। তিনি বলেন যে, "আমাদের গুরুদুয়ারা বা আমাদের কাড়া কেউই সরিয়ে দেয়নি বা তারা সরাতে পারবে না। এমন স্বপ্ন আবদালিও দেখেছিল, আওরঙ্গজেবও দেখেছিল, কংগ্রেসও দেখেছিল, কিন্তু কেউ তা দূর করতে পারেনি।"
সিরসার অভিযোগ, রাহুল গান্ধী শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্যই এমন কথা বলছেন। সিরসা আরও বলেছেন যে রাহুল গান্ধী সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এমন বিবৃতি দিচ্ছেন যার বিরুদ্ধে কংগ্রেস পার্টি ১৯৮৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছিল। রাহুল গান্ধী আমেরিকায় এমন কথা বলছেন যাতে তিনি সেখান থেকে সমর্থন পেতে পারেন। তিনি ক্ষমতা অর্জনের জন্য যে কোনও মাত্রায় দেশের মানহানি করতে পারেন।
একই সময়ে, রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরি বলেছেন, "রাহুল গান্ধী তার বিদেশ সফরে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে মনে হচ্ছে শিখ সম্প্রদায়ের পাগড়ি পরা এবং কাড়া পরা নিয়ে তার আপত্তি আছে, যেখানে আমি বলব এই সরকার শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ভালো কাজ করেছে। মোদী সরকারে এই প্রথম যে শিখ সম্প্রদায় স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করছে, আমি এটাও বলতে চাই যে রাহুল গান্ধীর পরিবার যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শিখ সম্প্রদায় অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করছিল।"
ভার্জিনিয়ায় তাঁর ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেন, 'সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে লড়াইটা কী। লড়াইটা রাজনীতির নয়, এটা অতিমাত্রায়। শিখ হিসাবে আপনাকে ভারতে পাগড়ি পরতে দেওয়া হবে কিনা, শিখ হিসাবে তাদের ভারতে কাড়া পরতে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে লড়াই। একজন শিখ কি গুরুদ্বারে যেতে পারবে? এটি লড়াই এবং এটি কেবল তাদের জন্য নয়, সমস্ত ধর্মের জন্য।'
No comments:
Post a Comment