নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৯ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : 'বিহারও ডোবে, বাংলাও ডোবে'। বন্যা নিয়ে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা দিলেন, 'একদিকে পুজো, অন্যদিকে বন্যা। সবাইকে জনগণের পক্ষে থাকতে হবে। পুজো বলে বন্যা ত্রাণের কাজে মানুষের পাশ থেকে পিছপা হলে হবে না।'
ভূমিধস ও ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গ। ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা। পরিস্থিতি এমন যে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়তে হচ্ছে ৪ হাজার ৬১১ কিউসেক জল। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। আজ রবিবার উত্তরকন্যা শিলিগুড়িতে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'আজ মূলত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে, যে এলাকাগুলো আগেও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই হয়েছে। তাদের সবাইকে নিয়ে মিটিং করলাম।সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত ইউনিয়ন, পৌরসভা, সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। কৌশির নদীর জল ছেড়েছে ৬ লাখ কিউসেক। এই জল বিহারের গঙ্গা হয়ে ফারাক্কায় ঢুকবে।'
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'ভারত সরকার বন্যার জন্য আমাদের এক পয়সাও দেয় না। তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, ফ্লাড অ্যাকশন, ফারাক্কা ব্যারেজ ভারত সরকারের অধীনে। ফারাক্কায় ড্রেজিং করে না । ড্রেজিং করলে আরও জল ধরে রাখা যেত। বিহারও ডোবে, বাংলাও ডোবে। ড্রেজিং করলে ৬ লাখের পরিবর্তে অন্তত ৪ লাখ জল ধরে রাখা যেত। তাহলে এসব জায়গায় বন্যা কম হত।'
বন্যায় রাজ্যের প্রায় সর্বত্র ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, 'আমাদের শস্য বীমার মেয়াদ প্রতি বছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যেহেতু সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বন্যা হচ্ছে তাই এটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বৃষ্টি থামার সাথে সাথেই... শস্য বিমার অধীনে রাজ্য সরকার দেয়, চাষীদের এক পয়সাও দিতে হয় না। তাঁরা চিন্তা করবেন না, শস্যা বিমা আপনি পাবেন।'
এদিকে শিলিগুড়ি গজলজোবায় বৈদ্যুতিক শক লেগে প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ৩ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
No comments:
Post a Comment