না ধুয়ে পরবেন না নতুন পোশাক
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১০ সেপ্টেম্বর: না ধুয়ে নতুন পোশাক পরলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে।নতুন জামাকাপড় কারখানা থেকে সরাসরি দোকানে আসে এবং এই সময়ে এগুলি অনেক রাসায়নিক,ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে।আসুন জেনে নেওয়া যাক না ধুয়ে নতুন পোশাক পরলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে।
রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ -
নতুন জামাকাপড়গুলিতে প্রায়শই ফর্মালডিহাইড এবং অন্যান্য রাসায়নিক থাকে,যা কাপড়কে কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এবং রঙ স্থিতিশীল রাখতে ব্যবহৃত হয়।এই রাসায়নিকগুলি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এবং ত্বকে জ্বালা,চুলকানি বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালার্জি এবং ত্বকের সমস্যা -
নতুন জামাকাপড়ের রাসায়নিক এবং ধুলো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।ত্বকের জ্বালা,চুলকানি এবং ফুসকুড়ি হতে পারে, বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের লোকেদের ক্ষেত্রে।না ধুয়ে নতুন জামাকাপড় পরলে ডার্মাটাইটিস(একজিমা) হতে পারে।যাতে ত্বক লাল হয়ে ফুলে যায় এবং চুলকায়।
ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ -
নতুন জামাকাপড় বিভিন্ন লোকের দ্বারা স্পর্শ করা হয় এবং দোকানে প্রদর্শিত হয়।ফলে এগুলি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংস্পর্শে আসে।না ধুয়ে এগুলি পরলে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস ত্বকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।বিশেষ করে আঁটসাঁট পোশাক,যেমন- আন্ডারগার্মেন্টে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রাসায়নিক গন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট -
নতুন জামাকাপড় দ্বারা নির্গত রাসায়নিক গন্ধ কিছু লোকের জন্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে,বিশেষ করে যদি তারা ইতিমধ্যে হাঁপানি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন।
ধুলো এবং ময়লা -
কাপড় তৈরি এবং প্যাক করার সময় ধুলো,মাটি এবং অন্যান্য ময়লা তাদের মধ্যে আসতে পারে।না ধোয়া কাপড় পরলে এই ময়লা সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসে এবং জ্বালা বা চুলকানির কারণ হতে পারে।
রঙের কণা -
নতুন জামাকাপড় রঞ্জন প্রক্রিয়ার সময় কিছু রঙের অবশিষ্টাংশ অবশিষ্ট থাকতে পারে,যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করতে পারে এবং ত্বকে জ্বালা বা অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা -
নতুন জামাকাপড় পরার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।এটি রাসায়নিক,ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করতে সাহায্য করবে।
কাপড় ধোয়ার জন্য হালকা এবং সুগন্ধিমুক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন যাতে কোনও অবশিষ্টাংশ না থাকে।
রোদে কাপড় শুকানোর ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের ঝুঁকিও কমে যায়।
No comments:
Post a Comment