নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৭ সেপ্টেম্বর: প্রবল বন্যা, যার জেরে ডুবে রয়েছে প্রতিমা ও প্যান্ডেল। কীভাবে হবে দুর্গা পূজা! এই নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে মালদার ভূতনিবাসীদের।
আর মাত্র ১১ দিন পরেই বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজা। আর এই আবহেই দুর্যোগের ঘনঘটা। প্রায় দেড় মাস ধরে ভূতনির তিনটি অঞ্চল জলমগ্ন। জলবন্দী প্রায় এক লক্ষ মানুষ। দেবী দুর্গার পুজো হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, চারিদিকে মায়ের পুজো নিয়ে সাজো সাজো রব। পুজো কতটা বেশি আকর্ষণীয় করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্তু মালদার মানিকচকের ভূতনিতে ছবিটা যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। মানিকচকের ভূতনির দামোদর টোলা পূজা মণ্ডপ বর্তমানে জলের তলায়। আর শুধু দামোদর টোলা পুজো মণ্ডপ নয়, আমতলা নন্দীটোলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, গৌরাঙ্গ তোরা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, হিরানন্দপুর দুর্গা পুজো কমিটি সহ তিনটি অঞ্চলের একাধিক দুর্গা পূজা কমিটির মণ্ডপে জল থৈ থৈ করছে।
গত বছরের হিসেব অনুযায়ী ভূতনির তিনটি অঞ্চলে বারোয়ারী পূজা সহ মোট ২৯ টি পুজো হয়। এর মধ্যে ২২টি পুজো সার্বজনীন। পুজো নিয়ে মেতে থাকেন ভূতনীবাসী কিন্তু এইবারে কীভাবে পুজো হবে, কোথায় পুজো হবে! এই নিয়ে চিন্তিত সকলে। ভূতনির তিনটি অঞ্চলে মা দুর্গার স্থায়ী মন্দির মোট দশটি। বাকি পুজো হয় অস্থায়ী পুজো মণ্ডপ তৈরি করে। কিন্তু বন্যার কারণে ইতিমধ্যেই চারিদিক জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পরেই দুর্গা পুজো। পুজো মণ্ডপগুলোতে জল থৈ থৈ করছে। আর এই নিয়েই ভূতনিবাসী রীতিমতো চিন্তিত।
তবে এর মধ্যেও যথেষ্ট ইতিবাচক পুজো উদ্যোক্তারা ও ভূতনিবাসীরা। তাঁদের আশা কয়েকদিনেই জল নেমে যাবে। আর জল না কমলেও দেবী মূর্তিকে অন্যত্র সরিয়ে উঁচু জায়গায় মায়ের পুজো হবে। তবে, দুর্গা পুজো তাঁরা করবেনই।
No comments:
Post a Comment