প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর : চুল আঁচড়ানো একটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রার রুটিনের অংশ। কিন্তু চুলে এর গভীর প্রভাব পড়ে। আপনি যদি আপনার চুলের সঠিক যত্ন নিতে চান তবে এটি সঠিক সময়ে এবং পদ্ধতিতে চিরুনি করা প্রয়োজন। সম্ভবত খুব কম মানুষই জানেন যে চুল আঁচড়ানো রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়।
চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি তাদের শক্তিশালী করে। চিরুনি চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সরবরাহ করে। এ ছাড়া চিরুনি মাথার ত্বকে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল ছড়িয়ে দেয়, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। কিন্তু চিরুনি করার পদ্ধতি ও সময় কী?
সকালে চুল আঁচড়ানো ভালো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চুল প্রায়ই আটকে যায়, যার কারণে চুল সোজা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সকালে চিরুনি দিলে এই গিঁটগুলো দূর হয় এবং চুলও মসৃণ হয়। তবে হালকা হাতে চুল আঁচড়ান। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হবে না।
চুল ধোয়ার পর চুল আঁচড়ানো সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু কিছু লোক শুধুমাত্র ভেজা চুল আঁচড়ানো শুরু করে। এ কারণে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর জন্য চুল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চুল সামান্য শুকিয়ে গেলেই আঁচড়ান। আপনার যদি তাড়া থাকে তবে আপনি আপনার চুলে হালকা ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। চুল ধোয়ার পরে, সর্বদা নিচ থেকে চিরুনি শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে উপরের দিকে যান।
সঠিক উপায় কি
নিচ থেকে চুল আঁচড়ানো শুরু করুন। এর পর আস্তে আস্তে উঠে আসবেন। এতে চুলের জট সমাধান হবে।
চুল সবসময় আলতো করে আঁচড়ান।
খুব শক্ত ভাবে আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যেতে পারে।
লম্বা চুলের জন্য, চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা ভাল, ছোট চুলের জন্য, একটি সাধারণ চিরুনি ব্যবহার করা ভাল।
দিনে ২-৩ বারের বেশি চিরুনি করবেন না।
তবে রাতেও চিরুনি দিতে পারেন। তবে চিরুনি করার একমাত্র শর্ত হল হালকা হাতেই করতে হবে। খুব জোরে আঁচড়ানো ক্ষতিকারক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment