এখনই উঠছে না কর্মবিরতি! বুধে ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চান জুনিয়র চিকিৎসকরা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৮ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : সোমবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, "তাদের পাঁচটি দাবীর মধ্যে একটি আদালতে বিচারাধীন। আমরা বাকি চারটির মধ্যে তিনটি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।" জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর হলেই তারা কাজে ফিরবেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবী মেনে মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বাস্থ্য বিভাগের দুই শীর্ষ আধিকারিককে বদলি করেছে। কলকাতা পুলিশের অনেক পদেও রদবদল করা হয়েছে। অনেকের ধারণা ছিল, এবার হয়ত জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেবেন।
তবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হাসপাতালে রোগী ও চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি তোলা হবে না।
জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "আমরাও কাজে ফিরতে চাই। তার আগে আমরা আমাদের ৪ ও ৫ নম্বর দাবী পূরণের জন্য আবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমরা আগামীকাল সকালের মধ্যে মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে একটি ইমেল পাঠাব।" তার মানে ওই ইমেলে রাজ্য থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই তারা কাজে ফেরার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও বলেন, "হাসপাতালের নিরাপত্তার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দাবীকে সমর্থন করেছে বলে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মৌখিক প্রতিশ্রুতি না দিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।"
তারা বলেন, "নারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রাতের ডিউটির পরিবর্তে দিনের ডিউটি দেওয়ার রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের আমরা বিরোধিতা করছি। এতে নারী-পুরুষ বৈষম্য বাড়বে। পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া শুধু নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় হাসপাতালটিকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। অনেক হাসপাতালে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নেই। এ কারণে কাজ করতে গিয়ে রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়। অতএব, নিরাপত্তা সহ এই দাবীগুলি দ্রুত পূরণ করা নিশ্চিত করার জন্য আরও আলোচনা প্রয়োজন।"
জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন , "সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি বা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়নি। অনেক জায়গায় নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং শোকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। কাজে ফেরার আগে এগুলো পূরণ হওয়া দরকার।"
No comments:
Post a Comment