জেনে নিন 'হটডগ' নামের কারণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 30 September 2024

জেনে নিন 'হটডগ' নামের কারণ

 


প্রদীপ ভট্টাচার্য
, কলকাতা, ৩০ সেপ্টেম্বর: পাউরুটির ভিতরে সসেজ ভরা থাকে। এছাড়া থাকে প্রচুর পরিমাণে মেয়োনিজ এবং চিজ। সবকিছুর মিশ্রণে এটি একটি সুস্বাদু খাবার। এরই নাম হটডগ।

 

যারা 'হটডগ' খেয়েছেন বা এর কথা শুনেছেন তাদের প্রত্যেকের মনে অন্তত একবার হলেও এই খাবারের নাম নিয়ে প্রশ্ন দেখেছে। একে 'হটডগ' বলা হয় কেন? এতে কি কুকুরের মাংস থাকে? হটডগের  সসেজ তৈরিতে কাজে লাগানো হয় গরু, মুরগি কিংবা শুকরের মাংস। কিন্তু আপনি হাজার খুঁজলেও এর মধ্যে কুকুরের মাংস পাবেন না। এটি হলো জার্মানির খাবার।


 শরণার্থীদের সঙ্গে ইউরোপ থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করে এটি। একসময় আমেরিকার জনপ্রিয় রাস্তার খাবারে পরিণত হয়েছিল এই 'হটডগ'।


 বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পুরো আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল এই খাবার। আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় হটডগের প্রস্তুত প্রণালীও কিছু কিছু বদলে গিয়েছিল সেই এলাকার মানুষের স্বাদের রকমফেরে।


 বিশ শতকে জার্মানিতে কুকুরের মাংস খাওয়ার চল ছিল। সেই অর্থেই অনেকেই মনে করতেন এই খাবার কুকুরের মাংস দিয়ে তৈরি হতো। তাই সেখানে সসেজের আরেক নাম হয়ে গিয়েছিল 'ডগ'। ১৮০০ সাল থেকেই সসেজের এই নাম প্রচলন হয়ে গিয়েছিল জার্মানিতে। কিন্তু তখনও সসেজ ভরা পাঁউরুটিকে হটডগ বলা হতো না। এর নাম ছিল ডাচশান্ড সসেজ।


 আমেরিকার এক সংবাদপত্রের কার্টুনিস্ট ডাচশান্ড সসেজকে 'হটডগ' বলে উল্লেখ করে একটি কার্টুন এঁকেছিলেন। সেই কার্টুন এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল যে তারপর থেকে এই সসেজ ভরা পাঁউরুটির নাম হয়ে যায় হটডগ।


 জার্মানিতে একসময় যেহেতু সসেজের অন্য নাম ছিল 'ডগ' এবং একটি গরম গরম পরিবেশন করা হতো, তাই কার্টুনে এই খাবারকে তিনি 'হটডগ' বলে উল্লেখ করেন। এরপর থেকেই এর নাম হয়ে যায় 'হটডগ'।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad