আরজি কর ধ-র্ষ-ণ মামলায় বড় ষড়যন্ত্র প্রকাশ! কার নির্দেশে কাজ করছিলেন সন্দীপ ঘোষ?
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার এসএইচও অভিজিৎ মণ্ডলকে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক ছাত্রী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার এসএইচও-এর রিমান্ড কপিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। এই প্রকাশ সিবিআইকে ইঙ্গিত দিয়েছে যে সন্দীপ ঘোষ কারও নির্দেশে কাজ করছিলেন। ধর্ষণ ও খুনের পিছনে আরও বড় ষড়যন্ত্রের সন্দেহ প্রকাশ করেছে সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সিডিআর বিবরণ নিয়ে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের মুখোমুখি হয়েছিল। এছাড়াও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্ত চলাকালীন, অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজের মুখোমুখি হয়েছিল, আরও কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে, যেগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিডিআর থেকে সন্দেহজনক কিছু মোবাইল নম্বরের তথ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিসিটিভির কিছু অংশ সিএসএফএল পুনরুদ্ধার করেছে, যাতে মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার সময় এবং আগে কিছু সন্দেহভাজনের গতিবিধি রেকর্ড করা হয়েছে, যার জন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্র বলছে যে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল ইচ্ছাকৃতভাবে মৃতদেহটিকে তাড়াতাড়ি দাহ করেছিলেন, যখন নিহতের পরিবার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত চেয়েছিল।
ঘটনার পর ধৃত সঞ্জয়কে শনাক্ত করা গেলেও ঘটনার সময় ধৃত সঞ্জয় যে পোশাক পরেছিল তা উদ্ধারে পুলিশ দুই দিন অবহেলা করে।
সন্দীপ ঘোষ সঠিক ধারায় মামলা নথিভুক্ত করতে পারেনি, যার কারণে সিবিআই সন্দেহ করেছে যে সন্দীপ ঘোষ অন্য কিছু লোকের নির্দেশে কাজ করছিলেন অর্থাৎ তিনি একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন।
এদিকে, অভিজিৎ মণ্ডলকে এ বার সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। গত শনিবার অভিজিৎকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে তিনি সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
যদিও প্রশাসনের একাংশের দাবী, এটি নিত্যনৈমিত্তিক পদক্ষেপ। কারণ কোনও সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ৪৮ ঘন্টার বেশি তদন্ত সংস্থার হেফাজতে রাখলে নিয়ম অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সন্দেহ করছে যে টালা থানার প্রাক্তন ওসি আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় প্রমাণ নষ্ট করার পিছনে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment