নৃশংসতার সীমা পার! ছোট্ট মেয়েকে ধ-র্ষণ করে খুন, হাত-পা বেঁধে কুয়োয় ফেলল বাবা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ সেপ্টেম্বর: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড়। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। এই আবহেই ৮ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন। নৃশংস এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাঁরই বাবার। মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় চরম নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে।
শনিবার গুনায় চাচোড়ায় একটি কুয়া থেকে এক শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। পুলিশ ২৪ ঘন্টা মধ্যে এই খুনের রহস্য উদঘাটন করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
একজন পুলিশ আধিকারিক বলেন, জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে চাচোড়া থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা আট বছর বয়সী একটি মেয়ে বুধবার থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। মেয়েটি নালায় পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা ভাবেন, প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে নিশ্চয়ই। এরপরই এসডিআরএফ দলকে ডাকে পুলিশ। তিন দিন ধরে মেয়েটির খোঁজা চলছিল। এরই মধ্যে শনিবার ওই কূপে মেয়েটির দেহ দেখা যায়। এরপর তার পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়, যেখানে চিকিৎসকরা খুনের আগে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপরই পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
থানার ইনচার্জ মাচাল সিং ম্যান্ডেলিয়া বলেন, নির্যাতিতার বাবার সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। কারণ তিনি তাঁর মেয়ের অনুসন্ধান ও তদন্তে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না। নিখোঁজ হওয়ার আগে মেয়েটিকে তাঁর বাবার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল। রবিবার সকালে মেয়ের শেষকৃত্য শেষে তার বাবাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর পুলিশি হেফাজতে তাকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মুখ খোলেন তিনি।
অভিযুক্ত বাবা জানান, মেয়েকে খুনের পর পাথর দিয়ে হাত-পা বেঁধে কূপে ফেলে দেন। অভিযুক্ত বাবা জানায়, তিনি তার মেয়েকে ঘৃণা করতেন, তিনি ছেলে চেয়েছিলেন। মেয়েকে খুন করতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। বুধবার তাকে ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করে। এরপর মেয়েটির হাত-পা বেঁধে দেহ কুয়ায় ফেলে দেন।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। অভিযুক্তর বর্বরতায় শিউরে উঠেছেন সকলেই। পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে।
No comments:
Post a Comment