হাসপাতালে গণধ-র্ষণের চেষ্টা! ব্লেড দিয়ে ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কাটলেন নার্স
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ সেপ্টেম্বর: কলকাতার আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের এক মাস অতিক্রান্ত। ঘটনার প্রতিবাদে ও ন্যায়বিচারের দাবীতে দেশজুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। এই আবহে নার্সকে গণধর্ষণের চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে, বিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ডাক্তারও রয়েছেন। তাঁর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন ওই নার্স।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের একজন ডাক্তার, যিনি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসকও। বুধবার রাতে সমষ্টিপুর জেলার মুসরিঘরারারি থানা সীমানার অধীনে গঙ্গাপুরের আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টারে নার্স কাজ শেষ করছিলেন, তখন হাসপাতালের প্রশাসক ডাঃ সঞ্জয় কুমার এবং তার দুই সহযোগী - যাঁরা সবাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন।
ডাঃ কুমার এবং অন্যদের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টায় নার্স ডাক্তারের পুরুষাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং হাসপাতালের বাইরে একটি মাঠে লুকিয়ে পড়েন। এরপর সেখান থেকে তিনি পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানান।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জয় কুমার পান্ডে বলেন, খবর পেয়ে পুলিলের একটি দলকে হাসপাতালে পৌঁছায় এবং ওই নার্স নিরাপদে আছেন, তা নিশ্চিত করার পরে ডাক্তার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর দুই অভিযুক্তের নাম সুনীল কুমার গুপ্তা ও অবধেশ কুমার।
পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, "নার্সকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করার আগে অভিযুক্তরা হাসপাতালের ভেতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছিল এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিল।" তিনি বলেন, "নির্যাতিতা যে বুদ্ধিমত্তা ও সাহস দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।"
পুলিশ অর্ধেক বোতল মদ, নার্সের ব্যবহৃত ব্লেড, রক্তমাখা কাপড় ও তিনটি সেলফোন উদ্ধার করেছে। আধিকারিক জানান, নার্সকে হেনস্থা করার চেষ্টা করার আগে তিনজন মদ্যপান করেছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হবে, কারণ বিহার একটি ড্রাই স্টেট।
No comments:
Post a Comment