প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদের স্ত্রী পুনম, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
কলকাতা: প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি ঝাঁ আজাদের স্ত্রী পুনম ঝাঁ আজাদ। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১২.৪০ নাগাদ মৃত্যু হয় পুনম আজাদের। সমাজমাধ্যমে নিজেই একথা জানান তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কীর্তি আজাদ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। সমাজমাধ্যমে (এক্স পোস্টে) স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানান তৃণমূল সাংসদ। এদিন কীর্তি জানান, বিকেল ৪ টের সময় দুর্গাপুরের দামোদর ভ্যালি শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে পুনমের। সাংসদের স্ত্রীর প্রয়ানে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি পুনমের অসুস্থতার কথাও জানান।
এক্স পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "আমাদের সাংসদ এবং বিশ্বকাপ বিজয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের স্ত্রী পুনম ঝা আজাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জেনে দুঃখিত। আমি পুনমকে অনেকদিন ধরে চিনি। আমি আরও জানতাম যে তিনি গত কয়েক বছর ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কীর্তি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন এবং তাঁর শেষ লড়াইয়ে সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন।"
তিনি আরও লেখেন, কীর্তি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।"
জানা গিয়েছে, বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন পুনম। শেষ কয়েকটি মাস দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সোমবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত ঝা আজাদের পুত্র কীর্তি আজাদ আগে বিজেপিতে ছিলেন। বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদও হন তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে তিনবার দারভাঙ্গা লোকসভা আসন থেকে সাংসদও হয়েছেন কীর্তি। তারপরে কীর্তি আজাদ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন এবং সেই বছর লোকসভা নির্বাচনে ধানবাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে ওই নির্বাচনে তিনি হেরে যান। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কীর্তি। বর্তমানে তিনি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের সাংসদ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে ভোটে জয়লাভ করেন তিনি।
স্বামীর মত পুনমও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বহু বছর ধরে বিজেপিতে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন পুনম আজাদ। এর পর তিনি বিজেপি থেকে পদত্যাগ করে দিল্লীতে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেন। পরে তিনি আম আদমি পার্টি থেকেও পদত্যাগ করেন এবং তারপর কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি ২০০৩ সালের দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তিনি পরাজিত হন।
No comments:
Post a Comment