ভেস্তে গিয়েছে বৈঠক! জুনিয়রদের পাশে সিনিয়র চিকিৎসকরা, কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দীর্ঘ ৩৫ দিনের আন্দোলন, কর্মবিরতি জুনিয়র চিকিৎসকদের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বারবার ভেস্তে গিয়েছে বৈঠক। বৃহস্পতিবার নবান্নে গিয়েও ফিরে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শনিবারে কালীঘাটের চিত্রটারও বদল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে ফিরে আসেন চিকিৎসকরা। আর এই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলল জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস, পাশে দাঁড়াল জুনিয়র চিকিৎসকদের।
শনিবার মধ্যরাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংগঠনের তরফ থেকে সিনিয়র চিকিৎসকেররা বলেন, 'জুনিয়র চিকিৎসকরা গত তিন দিন ধরে বারবার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যেতে চেয়েছেন। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণেই ভেস্তে দেওয়া হয়েছে বৈঠক। এতে স্পষ্ট সরকারের সদিচ্ছার অভাব।'
সিনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "সকালে ধর্না মঞ্চে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন, তাই বৃষ্টির মধ্যেও জুনিয়র চিকিৎসকরা কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা শুনলাম জুনিয়র চিকিৎসকদের নাকি চিফ সেক্রেটারি বেরিয়ে যেতে বলেছেন। উনি এটা কীভাবে করলেন! আলোচনার জন্য ডেকে অপমান করা হল। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের রাস্তা নেই বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কিন্তু আমরা আশাহতও নই।"
সিনিয়র চিকিৎসকদের তরফে আরও বলা হয়, আন্দোলনকারীদের মঞ্চে পৌঁছে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যাদের নাম এসেছে তারা কেউ নাকি তাঁদের বন্ধু নন। তাহলে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবী কেন মানা হচ্ছে না?' আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শনিবার আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্ৰেফতার করে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গে তাঁদের তরফে বলা হয়, 'টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে আমরাও মুখ্য সচিবকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অথচ যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, এবার তাদের হেফাজতে নিচ্ছে সিবিআই। অর্থাৎ সঠিক দাবীতে আন্দোলন করছেন আন্দোলনকারীরা।'
এর পাশাপাশি, রবিবার সন্ধ্যে ছয়টায় চিকিৎসকদের অ্যাসোসিয়েশনগুলি কলকাতা প্রেস ক্লাবের একটি বৈঠক করবেন। সেখান থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সমর্থনে একাধিক উদ্যোগের কথা জানানো হবে বলেও সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানানো হয়েছে। এদিন তাঁরা কী বার্তা দেন বা কী দাবী রাখেন, আপাতত সেদিকেই নজর বিভিন্ন মহলের।
No comments:
Post a Comment