'লাইভে একতরফা ভাষণ দিতে কোনও সমস্যা হয় না', মমতাকে বিঁধলেন শুভেন্দু
কলকাতা: কয়েকদিন ধরেই স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্নায় রয়েছেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করা জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ায় নবান্নের সামনে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন তাঁরা। আর শনিবার দুপুরে আচমকাই স্বাস্থ্যভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে চিকিৎসকরাও স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ঝড়-জল মাথায় করে তাঁরা যেভাবে আন্দোলন করছেন, তিনিও রাতে ঘুমাতে পারছেন না।' শুভেন্দর দাবী, মমতার এই সব নাটক করছেন। তিনি ডাক্তারদের সামনে ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন এবং তাঁদের সহানুভূতি নিতে চাইছেন। শুভেন্দুর কথায়, "জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা হয়, কিন্তু তিনি হঠাৎ উপস্থিত হয়ে একতরফা ভাষণ দিতে শুরু করলেন, তখন লাইভ কভারেজ নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না।" মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত স্বার্থে এই কাজ করেছেন বলে দাবী বিরোধী দলনেতার।
বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, 'জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাওয়ার শুধু নাটক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাস্টিসের স্লোগান উঠলেই বিষয়টি সিবিআইয়ের দিকে তিনি ঘোরাতে চাইছেন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত নয়, এমন জেনেও তিনি অবস্থান মঞ্চে এসেছেন বলে দাবী করেছেন, অথচ তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি! আর কত নিরাপত্তা মুখ্যমন্ত্রী চান? প্রশ্ন বিরোধী দলনেতার।
এদিন চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে এসে নিজের ২৬ দিনের ধর্মঘটের কথাও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তাঁর অবস্থান-বিক্ষোভের সময় কেউ এভাবে দেখা করতে আসেননি। এই নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবাই জানেন আপনার ২৬ দিনের আন্দোলন কতটা বাস্তব ও প্রকৃত ছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রকৃত ও ন্যায্য আন্দোলন এবং সুশীল সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ দেখে আপনি হতাশ ও আতঙ্কিত।" শুভেন্দুর পরামর্শ, আপনি যদি সত্যিই আপনার ভাবমূর্তি জনসমক্ষে বাঁচাতে চান, তাহলে অন্তত স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন।"
No comments:
Post a Comment