টালা থানার ওসি গ্ৰেফতার হতেই আক্রমণাত্মক শুভেন্দু! 'লাইন আরও লম্বা হবে', দাবী সুকান্তর
কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শনিবার গ্ৰেফতার করেছে সিবিআই।আর এরপরেই সমাজমাধ্যমে আক্রমণাত্মক পোস্ট বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
এদিন সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু লেখেন, "টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্ৰেফতারিতে প্রমাণিত যে, পুলিশ সরাসরি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে এবং আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তদন্তের অভিমুখ বদলের চেষ্টা হয়েছিল। গোটা বিষয়টি কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের নজরদারিতে পরিকল্পনামাফিক হয়েছে।"
তিনি আরও লেখেন, "কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিৎ এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিৎ, কারণ তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান হওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।"
অপরদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, "দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ আগেই গ্ৰেফতার হয়েছিলেন। এবারে ধর্ষণ-খুনের মামলায় তথ্য লোপাটের জন্য গ্ৰেফতার। আশা করব এই তদন্ত সিবিআই সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেবে।"
তাঁর কথায়, "থানার ওসি বা কলেজের প্রিন্সিপালের পক্ষে নিজেদের বুদ্ধিতে এই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা যখন রাতে ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করে নোট দিয়ে বলেছিলেন, বিশেষ অনুমতি ছাড়া ময়নাতদন্ত সম্ভব নয়, তখন এই ওসি আগবাড়িয়ে অর্ডার দিয়ে চিঠি পাঠান। উপর থেকে নিশ্চয়ই নির্দেশ ছিল। দেখতে হবে কার নির্দেশে হয়েছে।" সুকান্তর দাবী, "অপেক্ষা করুন, গ্ৰেফতারির লাইন আরও লম্বা হবে।"
No comments:
Post a Comment