বিএইচইউ গণধ-র্ষণ মামলার অভিযুক্তদের জামিনে ক্ষুব্ধ অখিলেশ, বিজেপিকে নিশানা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর : বারাণসীতে IIT BHU ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তের জামিনের পর রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুজনকে জেল থেকে ছাড়ার পর এবার রাজ্যের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন যে, "বিএইচইউ গণধর্ষণের তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুজনের জামিন পাওয়ার খবর, যারা বিজেপির আইটি সেলের আধিকারিক হিসাবে কাজ করেছিলেন, দুই-ই নিন্দনীয় এবং উদ্বেগজনক।"
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, "প্রশ্ন হল ধর্ষকদের আদালতে দুর্বল প্রতিরক্ষা উপস্থাপনের জন্য কার চাপ ছিল। দেশের মেয়েদের মনোবল নষ্ট করা লজ্জাজনক। এই ধর্ষকরা কেবল বেরিয়ে আসেনি, এমনও খবর রয়েছে যে বিজেপির ঐতিহ্য অনুসারে তাদের ফুল ও মালা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল।"
অখিলেশ যাদব বলেন, "বিজেপি কি দেশের বোন-কন্যাদের এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইবে? আশা করি, সত্যিকারের সাংবাদিকতাকারী সমস্ত মহিলা অ্যাঙ্কররা অবশ্যই এই বিষয়ে তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠান করবেন।" তিনি বলেন যে, "বিজেপিকে স্পষ্ট করা উচিত যে বিজেপি কর্মীরা দেশের 'প্রাথমিক সংসদীয়' আসনে ধর্ষণের জন্য বিশেষ ছাড় এবং স্বাধীনতা পেয়েছে কিনা?"
গণধর্ষণ অভিযুক্ত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও মানুষের মধ্যে তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন হাইকোর্ট থেকে ২ জুলাই এবং অন্যজন ৪ জুলাই জামিন পান। অভিযুক্তদের জেল থেকে ছাড়ার পরে, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাইও বলেন যে উত্তরপ্রদেশ সরকার আদালতে মামলাটি সঠিকভাবে লড়েনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ পেশ করা হয়নি।
২০২৩ সালে, বিএইচইউ ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাক্ষম প্যাটেল, অভিষেক চৌহান এবং কুনাল পান্ডে। সাক্ষম প্যাটেল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। দলের অনেক সিনিয়র নেতার সঙ্গে তার ছবিও রয়েছে। তিনজনের জামিনের আবেদন বারাণসী ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে রাতে আইআইটি বিএইচইউ-এর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment