'অচলাবস্থা কাটাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা', গভীর রাতে শুভেন্দুর পোস্ট! কিসের ইঙ্গিত?
কলকাতা: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক হয়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। তার কয়েক ঘন্টা আগে হওয়া এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল রাজ্যবাসীর। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের ৫ দফা দাবী নিয়ে আলোচনা হয়, মেনেও নেওয়া হয় তাঁদের কিছু দাবী। তবে, মৌখিক আশ্বাসে নয়, কাজে করে দেখালেই কর্মবিরতি তোলার চিন্তাভাবনা, একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর এই বৈঠক নিয়েই সমাজমাধ্যমে বড়সড় পোস্ট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আশঙ্কা, অচলাবস্থা কাটাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা (বোঝাপড়া) হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত পোস্ট করেন শুভেন্দু। পোস্টে লেখা, "বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রস্তাব পড়ে মনে হচ্ছে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। যাইহোক, ন্যায়বিচারের জন্য, শুধুমাত্র কয়েকজন আধিকারিকের বদলি যথেষ্ট হবে না। সাক্ষ্য বিকৃতিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের কারাগারে ঢোকাতে হবে।"
তিনি লেখেন, "নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যা কিছু ঘটেছে, তা কয়েকজন আধিকারিকের কাজ হতে পারে না। সকলেই জানেন যে পশ্চিমবঙ্গে, একটি পিন বা হাতি সরানোর জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদেশ/নির্দেশ এবং সম্মতি ছাড়া কিছু ঘটে না। তাই এই পুরো পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দায়ী। তাঁর শুধু পদত্যাগই নয়, পুরো বিষয়টিতে তাঁর ভূমিকার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিৎ।"
পোস্টে লেখা, "আমি সকল সরকারি কর্মচারীদের এই পর্ব থেকে তাদের পাঠ শিখতে অনুরোধ করতে চাই। যখন সময় আসবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপনাকে বলির পাঁঠায় পরিণত করবেন। সুতরাং, আইনের বিধান এবং আমাদের সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসারে আপনার দায়িত্ব পালন করুন। অন্যথায়, পরের বার আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এবং সমস্ত দোষ আপনার কাঁধে চলে যাবে এবং পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য আপনাকে বলির পাঁঠা বানানো হবে।"
শুভেন্দুর পোস্টে আরও লেখা, "যাঁরা রাজ্য জুড়ে, দেশ জুড়ে এবং বিশ্বজুড়ে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' এবং 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান তুলেছেন, তারা মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন কারণ এটিই আশা এবং আমাদের প্রয়াত ডাক্তার বোনের জন্য ন্যায়বিচারের শেষ অবলম্বন। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বঙ্গ বিজেপি ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।"
No comments:
Post a Comment