পাকস্থলী এবং মস্তিষ্কের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী সংযোগ
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ সেপ্টেম্বর: এই কথাটা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন যে আগে পেট পুজো তারপর দ্বিতীয় কাজ।পেট ভালো হলে সব ভালো হয়ে যায়।পেটে খাবার থাকলে মস্তিষ্কও ভালো কাজ করবে।তাই সুষম খাদ্য মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।পেট সুস্থ না থাকলে তা মনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।পেটে কোনও সমস্যা হলে তা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আঘাত করে।এর মধ্যে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর।কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয়।এছাড়াও মস্তিষ্ক তার কাজ সঠিকভাবে করতে পারে না।তারপর ব্যক্তি ডিমেনশিয়া অর্থাৎ ভুলে যাওয়া রোগে ভুগতে শুরু করে।তাই কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়ার ভুল করবেন না
কোষ্ঠকাঠিন্য কিভাবে মস্তিষ্কে আক্রমণ করে -
একটি গবেষণা অনুসারে,যদি সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা না করা হয়,তাহলে ডিমেনশিয়া ব্যক্তিকে কাবু করে ফেলে।এতে চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বিরূপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।গবেষণা অনুযায়ী,যারা দিনে দুবার মলত্যাগ করেন তাদের মধ্যে অ্যামনেসিয়ার সমস্যা দেখা যায়।
টাইপ ৩ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি -
পেট খারাপের কারণে মস্তিষ্ক যখন সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন একজন ব্যক্তির মধ্যে টাইপ ৩ ডায়াবেটিস এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।এর ফলে মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগও হতে থাকে।এমন পরিস্থিতিতে স্নায়বিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।কম বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিরূপ প্রভাব ফেলে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান কী -
কম জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।খাবারের প্লেটে ফাইবার যুক্ত খাবার না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য মানে সকালে মলত্যাগের সময় সঠিকভাবে পেট পরিষ্কার না হওয়া।এর ফলে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস (FARTING) বের হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ শুরু হয়।কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়,কখনও কখনও একজনের বমি হওয়ার মতো অনুভূতিও হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে দিনের বেলায় যতটা সম্ভব জল পান করুন এবং রাস্তার খাবার ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
No comments:
Post a Comment