জন্মের পর মায়ের মাংস খেয়েই বেঁচে থাকে এই প্রানীর সন্তানেরা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর:
মা সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।শত দুর্যোগে সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন মা। মায়েদের এই বৈশিষ্ট্য শুধু মানুষের মধ্যেই নয়,আছে পুরো পৃথিবীর সব প্রাণীকুলের মধ্যেই। সন্তানকে বাঁচাতে মায়েরা জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেন।এমনকি কিছু প্রাণী আছে সন্তানকে বাঁচাতে নিজেকেই সন্তানের খাদ্য হিসেবে বিলিয়ে দেয়।
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও,এটি সত্যি। এটি মূলত প্রাণীর হিংস্রতার জন্য নয়,আসলে প্রকৃতির নিয়মেই এমটাই ঘটে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গবেষণায় দেখা গেছে স্ত্রী মাকড়সা তার সন্তানদের নিজেকেই খেতে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় স্টেগোডিফাস ডুমিকোলা প্রজাতির স্ত্রী মাকড়সার মধ্যে এই স্বভাব দেখা যায়। এই প্রজাতির মাকড়সার সব স্ত্রী মাকড়সা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। মাত্র ৪০শতাংশ স্ত্রী মাকড়সা প্রজনন করার সুযোগ পায় কারণ তারা পুরুষদের তুলনায় ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়।
অনেক স্ত্রী মাকড়সা আছে যারা কুমারী থাকে সারাজীবন। এমনকি স্ত্রী মাকড়সা সন্তান জন্মের পর সন্তানদের বাঁচাতে নিজেকেই খেতে দেয়। এরপর এই বাচ্চাগুলো পালিত হয় কুমারী কোনো মাকড়সার কাছে।
এছাড়াও আরেকটি প্রাণী আছে,কাঁকড়াবিছে। বিষাক্ত প্রাণী হিসাবে এই প্রাণীটির কুখ্যাতি আছে এমনিতেই। অনেক ভয়ংকর প্রানীকেও কাঁকড়াবিছের বিষের কাছে হার মানতে হয়।
কাঁকড়াবিছে একসঙ্গে ১০০এর বেশি বাচ্চার জন্ম দেয়।বাচ্চারা মায়ের পিঠে উঠে চলাচল করে অন্যান্য শিকারিদের থেকে বাঁচার জন্য। এই সময় বাচ্চারা মায়ের মাংস খেয়েই বেঁচে থাকে। খোলসের ভেতরে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ মাংস শেষ হয়ে মায়ের মৃত্যু হয় ততক্ষণ খেতে থাকে।
No comments:
Post a Comment