ঘুরতে গিয়ে আক্রান্ত দুই সেনা অফিসার, সঙ্গী মহিলাকে গণধ-র্ষণ!
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর: দুই প্রশিক্ষণরত সেনা অফিসারদের বেধড়ক মারধর, লুটপাট। শুধু তাই নয়, বন্দুকের নলের ওপর রেখে সেনা অফিসারদের সঙ্গে থাকা বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর এক প্রশিক্ষণরত অফিসার ও তাঁর সঙ্গী এক মহিলাকে আটকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবী করে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হলেও অভিযুক্তরা সুযোগ বুঝে বনে পালিয়ে যায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে, যাদের মধ্যে একজনের অপরাধমূলক রেকর্ড পাওয়া গেছে।
ইন্দোরের কাছে মহউ আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ওই দুই অফিসার। তাঁরা দুই মহিলা সঙ্গীর সাথে ঐদিন বিকেলে ছোটি জ্যামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে একটি জায়গায় পিকনিকে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎ পিস্তল, ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আটজন লোক তাদের ঘিরে ফেলে। প্রশিক্ষণার্থী অফিসার ও সঙ্গী মহিলাদের মারধর করা হয় এবং তাঁদের টাকা ও জিনিসপত্র লুট করে নেওয়া হয়। বাধা আরও দিলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীরা।
এরপর হামলাকারীরা একজন অফিসার এবং সঙ্গী একজন মহিলাকে আটকে রাখে এবং অন্য অফিসার ও সঙ্গী মহিলাকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে আসতে বলে। আতঙ্কিত হয়ে, অফিসার দ্রুত তাঁর ইউনিটে ফিরে আসেন এবং তাঁর কমান্ডিং অফিসারকে জানালে তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ কর্তা ও সেনা জওয়ানেরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও তাঁদের গাড়িগুলো দেখে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এক পুলিশ আধিকারিক লোকেন্দ্র সিং হিরোর বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, চারজনকেই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মহউ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে দুই সেনা অফিসার ঘটনায় আহত হন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে যে একজন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
"লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ সম্পর্কিত (বিএনএস) ধারা এবং অস্ত্র আইনের অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে," সিনিয়র পুলিশ অফিসার হিতিকা ভাসাল বলেছেন, পিটিআই জানিয়েছে৷ পুলিশ জড়িত অন্য অপরাধীদের খুঁজছে, অফিসার বলেছেন।
No comments:
Post a Comment