প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর : বাবা সিদ্দিকী খুন মামলার পর পুলিশ পুরোপুরি সতর্ক হয়ে গেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি টেরোরিস্ট সেল, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিআইইউ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যাতে এই ধরনের সম্ভাব্য হামলা ঠেকানো যায়। ক্রাইম ব্রাঞ্চকে সেই রুট খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে যেখান থেকে সহজেই মুম্বইতে অস্ত্র আসছে কিন্তু তা কারও রাডারে নেই বা কারও কাছ থেকে ইনপুট পাওয়া যাচ্ছে না।
মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ টিম জিশান সিদ্দিকীর বয়ান রেকর্ড করতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই পুলিশ খোদ পরিবারের কাছ থেকে জানতে চায় এমন কেউ ছিল কি না যার থেকে বাবার জীবন বিপন্ন হতে পারে? পুলিশ আরও জানতে চায় এসআরএর কোনও প্রকল্পের বিষয়টি এতদূর এগোতে পারত যে বাবা সিদ্দিকীকে খুনের জন্য কেউ সুপারি বের করবে?
পুলিশ বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশানের কাছ থেকেও জানতে চায় যে সে কাউকে সন্দেহ করে কিনা বা কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে কিনা এবং যদি এমন কিছু আসে তবে অপরাধ শাখা সেই দিক থেকেও তদন্ত করবে। মুম্বাই পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেন, "এই ঘটনার মানে পুলিশের গোয়েন্দারা ব্যর্থ হয়েছে। বাবা সিদ্দিকী যে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট হতে পারে সে সম্পর্কে পুলিশের ধারণা ছিল না।"
বাবা সিদ্দিকীকে সালমান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে গণ্য করা হয়েছিল। তাঁকে খুনের পর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখন সালমান খানের অন্যান্য বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
No comments:
Post a Comment