প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর : বাহরাইচ সহিংসতার পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় অভিযুক্ত রিংকু ওরফে সরফরাজের। এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সরফরাজ। সহিংসতার আরেক অভিযুক্ত মহম্মদ তালিমও পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। সরফরাজই রাম গোপাল মিশ্রকে গুলি করে খুন করে। সহিংসতার পর সরফরাজ পলাতক ছিলেন। পুলিশের দল তল্লাশিতে ব্যস্ত থাকলেও সফলতা পাচ্ছে না।
এদিকে পুলিশ ইনপুট পায় যে সরফরাজ নেপালে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার নেপাল সীমান্তের কাছে হান্দা বাশেহারি খালে সরফরাজ ও তার সহযোগী মহম্মদ তালিমকে অবরোধ করে ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ তাদের দুজনকে আত্মসমর্পণ করতে বললেও দুজনেই গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে সরফরাজ ও মহম্মদ তালিম আহত হন। পুলিশ অবিলম্বে তাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে, যেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, এডিজি আইনশৃঙ্খলা অমিতাভ যশ জানিয়েছেন, পুলিশ এনকাউন্টারে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই পক্ষ থেকে গোলাগুলি হয়েছে। নেপাল সীমান্তের কাছে অভিযুক্তদের সঙ্গে এনকাউন্টার হয়। গুলিবিদ্ধ হন অভিযুক্ত সরফরাজ ও মহম্মদ তালিম।
উল্লেখ্য, ১৩ অক্টোবর রবিবার হারদী থানার মহসী এলাকার মহারাজগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিশৃঙ্খলা এতটাই বেড়ে যায় যে রাম গোপাল মিশ্র নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করে এক পক্ষ। রাম গোপাল খুনের পর উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যায় যে মানুষ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের আশ্রয় নেয়। দোকানপাট, গাড়ি ও বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment