প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল, ২৬ অক্টোবর: দীপাবলি শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সব বয়সের মানুষই দীপাবলির উৎসব অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করেন। এ সময় মানুষ একে অপরকে মিষ্টিও দেয় এবং মিষ্টি দেখে প্রায় সবার মুখেই জল চলে আসে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের এই সময় তাঁদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে, কারণ এই পাঁচ দিনের আলোর উৎসবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা মিষ্টি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না, আর এটাই তাদের চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে কিছু টিপস মেনে চললে আপনার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনার উৎসবের মাধুর্যও কমবে না। যেমন-
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলুন
আপনি উৎসবের মরসুমে মিষ্টি এড়াতে পারেন না, কারণ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার একত্রিত হলে 'মিষ্টি কিছু' অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ, যাতে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হল পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা। মনে রাখবেন স্বাদ মেটাতে সামান্য অংশই যথেষ্ট।
পর্যাপ্ত ঘুম
উত্সবের সময়, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের সমাগম হয় বাড়িতে, যার কারণে মানসিক চাপ বাড়ে এবং এই মানসিক চাপ ঘুম নষ্ট করে। এমন অবস্থায় ভালো ও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। কারণ, দুর্বল ঘুমের চক্রও রক্তে উচ্চ শর্করার কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই সময়মতো ঘুমান এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খান
যাদের সুগার আছে, তাদের দীপাবলির উৎসবের সময় কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ, কারণ এটি চিনির মাত্রা আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কমলা, আপেল, ডালিম, শসা, লাউ এবং কুমড়ার মতো ফল ও সবজি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে আসে। এছাড়া দুধ ও পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবারও খাওয়া যেতে পারে।
অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
উৎসবের মরসুমে, অনেকে সেলিব্রেশনের মুডে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন। অ্যালকোহলে চিনি এবং ক্যালোরি থাকে, যা আপনার সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে আপনি টমেটোর রস, লেবুর রস বা নারকেল জলের মতো চিনিমুক্ত পানীয় খেতে পারেন।
ব্যায়াম করুন
উৎসবের সময় দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আসে। আপনি যদি আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন। উৎসবের সময় এই রুটিনটিকে একেবারেই উপেক্ষা করবেন না।
বি.দ্র: নিবন্ধে লেখা তথ্য এবং পরামর্শগুলি শুধুমাত্র পাঠকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না। যেকোনও ধরনের সমস্যা বা প্রশ্নের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment