নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৭ অক্টোবর, কলকাতা : কলকাতার আরজি করে ছাত্রী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। সিবিআই চার্জশিট অনুসারে, মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয়। সে নির্যাতিতা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে এবং তারপর তাকে খুন করে। সোমবার আধিকারিকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। কলকাতার একটি বিশেষ আদালতে দাখিল করা একটি চার্জশিটে, সিবিআই বলেছে যে সঞ্জয় ৯ আগস্ট হাসপাতালের সেমিনার হলে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এজেন্সি চার্জশিটে গণধর্ষণের অভিযোগ উল্লেখ করেনি, ইঙ্গিত করে যে সঞ্জয় একাই অপরাধ করেছে। আধিকারিকরা জানান, চিকিৎসক রাতে ডিনার করে হাসপাতালের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গেলে অভিযুক্ত এ অপরাধ করে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগপত্রে সঞ্জয়কে প্রধান অভিযুক্ত করে প্রায় ২০০ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মামলায় অন্য কোনও সন্দেহভাজন জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গত ৯ আগস্ট ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তী তদন্তে জানা যায় যে তার সাথে একটি নৃশংস এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে। পরে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।
এদিকে এ বিষয়ে নারী চিকিৎসকদের বিচার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবীতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার তাদের দাবী নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে ছয় জুনিয়র চিকিৎসক আমরণ অনশন করছেন এবং পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরেক চিকিৎসক।
জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অনশনে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন 'পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের যৌথ প্ল্যাটফর্ম'-এর ছয় সদস্য। জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমাদের আমরণ অনশন চলছে। আমরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও বার্তা পাইনি। আমাদের সব দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমাদের মৃত বোনের জন্য ন্যায়বিচারের দাবীতে আমাদের প্রতিবাদের পথ থেকে কোনও বাহ্যিক চাপ আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না...এখনও না কখনও না।"
No comments:
Post a Comment