প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ অক্টোবর : বাসের সঙ্গে টেম্পোর ভয়াবহ ধাক্কা। এই দুর্ঘটনায় টেম্পোতে থাকা ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ধোলপুরে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু, তিন মেয়ে, দুই নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। এই দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
টেম্পো আরোহী বাড়ী শহরের গুমাট মহল্লার বাসিন্দা। এই লোকেরা ভাত কর্মসূচিতে অংশ নিতে বড়উলি গ্রামে এসেছিলেন। এখান থেকে সবাই টেম্পোতে ফিরছিল। এদিকে NH 11B-এর সুনিপুর গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। পথচারীরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে টেম্পো থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আহতদের ধলপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ দুর্ঘটনায় টেম্পোটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাড়ির যন্ত্রাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। গাড়ির কাচ ভেঙে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। ধাক্কা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে টেম্পোর পিছনে থাকা লোকজন গাড়ির মধ্যে আটকা পড়ে যায়। ধাক্কার পর টেম্পোতে বসা কয়েকজন সড়কে পড়ে যায়। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, নিহতের পরিবারের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত টেম্পোটি সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুটি গাড়িই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে স্লিপার কোচের চালক ও কন্ডাক্টরও রয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ডেপুটি জেলা কালেক্টর দুর্গা প্রসাদ মীনা, সার্কেল অফিসার মহেন্দ্র কুমার মীনা, বারি থানার স্টেশন ইনচার্জ বিনোদ কুমার পুলিশ দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা খতিয়ে দেখেন।
এ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কিছুক্ষণ যানজট ছিল। তবে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যানজট সরিয়ে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার জায়গায় ব্যারিকেডিং করা হয়েছে। পথচারীদের কাছ থেকে দুর্ঘটনার তথ্য নেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment