প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ অক্টোবর: মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি সরাসরি আমাদের স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত।দাঁতের সঠিক পরিচর্যার জন্য ব্রাশিং একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া।কিন্তু যদি তা সঠিকভাবে না করা হয়,তাহলে এর বিরূপ পরিণতি হতে পারে।অনেকেই ব্রাশ করার সময় সাধারণ ভুল করেন যা তাদের দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করতে পারে।
হার্ড ব্রাশ ব্যবহার -
প্রায়শই লোকেরা মনে করেন যে একটি শক্ত ব্রাশ দাঁত ভালো পরিষ্কার করে।তবে এটি একটি ভুল ধারণা।একটি শক্ত ব্রাশ দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং মাড়িকে আঘাত করতে পারে।আমাদের উচিৎ নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করা,যা দাঁত পরিষ্কার করবে কিন্তু ক্ষতি করবে না।
ব্রাশের উপর অত্যধিক চাপ প্রয়োগ করা -
কেউ কেউ মনে করেন বেশি চাপ দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।কিন্তু তা করলে মাড়ি দুর্বল হতে পারে এবং দাঁতের বাইরের স্তরেও প্রভাব পড়তে পারে।মৃদু হাতে ব্রাশ করা দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
তাড়াহুড়ো করে ব্রাশ করা -
আপনার দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য সময় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষজ্ঞদের মতে,একবার ব্রাশ করার জন্য কমপক্ষে দুই মিনিট ব্যয় করা উচিৎ।তাড়াহুড়ো করে ব্রাশ করার কারণে,দাঁতের অনেক পৃষ্ঠতল সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয় না,যা প্লেক এবং গহ্বরের ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্রাশ পরিবর্তন করতে বিলম্ব -
অনেকে ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে একই টুথব্রাশ ব্যবহার করেন।প্রতি তিন-চার মাসে টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিৎ।কারণ এর পরে ব্রিসলস দুর্বল হয়ে যায় এবং পরিষ্কার করা আর কার্যকর হয় না।
খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করা -
খাওয়ার সাথে সাথে ব্রাশ করা এড়িয়ে চলুন।বিশেষ করে যদি আপনি অ্যাসিডিক কিছু খেয়ে থাকেন।এতে দাঁতের এনামেল স্তরের ক্ষতি হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা খাওয়ার পরে কমপক্ষে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা -
ব্রাশ করার সময় শুধু দাঁত পরিষ্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়াই যথেষ্ট নয়।জিহ্বাতেও ব্যাকটেরিয়া জমে যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।তাই প্রতিবার ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করাও প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment