প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৮ অক্টোবর: ফুলকপি একটি খুব সাধারণ সবজি।এটি বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যায়।কেউ কেউ এর পরোটাও খেতে পছন্দ করেন।ফুলকপিকে স্বাস্থ্যকর সবজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এতে পুষ্টির কোনও অভাব নেই।এটি খেলে শরীর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ অনেক পুষ্টি পায়।এটি খেলে ভালো ঘুম হয়,মাংসপেশি সুস্থ থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে ফুলকপি খাওয়া উচিৎ।কারণ এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে।
ফুলকপি বেশি খাওয়ার অসুবিধা:
পেটের সমস্যা -
ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে রাফিনোজ নামে এক বিশেষ ধরনের সুগার থাকে,যা সহজে ভেঙে যায় না।বড় অন্ত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এটিকে ফার্মেন্ট করে,যার ফলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা হতে পারে।তাই ফুলকপি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ।
হাইপোথাইরয়েডিজম -
থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে।এই গ্রন্থি যদি কম হরমোন নিঃসরণ করে তাহলে এই অবস্থাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।ফুলকপি বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে তা থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর অনেক চাপ ফেলে।তাই অবশ্যই একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন।
অ্যালার্জি -
অনেকেই আছেন যাদের ফুলকপি খেলে অ্যালার্জি হয়।এর মধ্যে রয়েছে ত্বকের চুলকানি,ফোলাভাব এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা।এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
ক্ষুধা হ্রাস করে -
ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি কম পাওয়া যায়।তবে এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে,যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধার্ত বোধ থেকে বিরত রাখে এবং এর মাধ্যমে আপনি ওজন কমাতে পারেন।তবে আপনি যদি এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করেন তবে এটি সম্ভব যে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে।
No comments:
Post a Comment