কলকাতা: মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলন সৈরানি। এসএসকেএম হাসপাতালে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ায় বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। দু’সপ্তাহ আগে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে তাঁকে রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ৬৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হাফিজ।
প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর দেহ রাখা হবে। তারপর ১১টা ৩০ মিনিট থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিধান সভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহ উত্তর দিনাজপুর চাকুলিয়াতে নিয়ে যাওয়া হবে। ৩০ নভেম্বর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ইমরান আলি রামজ। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
হাফিজ আলম সৈরানি ১৯৯৪ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর বিধানসভা থেকে প্রথম বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিধান সভার সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারে ত্রান এবং পাশাপাশি সমবায় মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন।
হাফিজ আলম সৈরানির রাজনৈতিক পথ চলা শুরু হয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে। তাঁর দাদা রমজান আলি ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর কেন্দ্রের বিধায়ক। রমজানের মৃত্যুর পর ওই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সির কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তী সময়ে হাফিজের ভাইপো আলি ইমরান আলি রামজের হাত ধরে ফের ওই আসনটি পুনরুদ্ধার করে ফরওয়ার্ড ব্লক। দলীয় নেতৃত্বের সাথে মতানৈক্য হওয়ায় ২০২২ সালে আলি ইমরান রামজ এবং বেশ কয়েকজন নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি পদেও নিযুক্ত করা হয়েছিল হাফিজকে। সোমবার হাফিজের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি জানান, ‘সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায় এবং প্রগতিশীল কর্মধারার ক্ষেত্রে প্রয়াত হাফিজ আলি সৈরানির ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’
No comments:
Post a Comment