প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৪ অক্টোবর : ইজরায়েলের শহর হাইফার দক্ষিণে বিনিয়ামিনা সামরিক ঘাঁটি একটি ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, রবিবারের এই হামলায় ৪ ইজরায়েলি সেনা নিহত এবং প্রায় ৬৭ জন আহত হয়েছে। এই আক্রমণে উদ্বেগের বড় বিষয় হল যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটিকে ঠেকাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিমান হামলার সাইরেনও বাজেনি।
যে ড্রোন দিয়ে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হামলা চালায় সেটিকে রাশিয়ান ড্রোন হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলাটি এখন পর্যন্ত ইজরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা। রাশিয়ার ড্রোন হামলা প্রমাণ করেছে ইজরায়েল-লেবানন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রবেশ এবং এখন ইরানের অস্ত্রের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর কাছেও রাশিয়ার অস্ত্র রয়েছে।
হিজবুল্লাহর এই হামলাকে দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই হামলার সময় ইজরায়েলি সেনারা মেসে খাবার খাচ্ছিল। এই হামলায় আহত ব্যক্তিদের প্রায় ৫০টি অ্যাম্বুলেন্সে করে ৭টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযানের পর হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতি জারি করে এর দায় স্বীকার করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ইসলামিক প্রতিরোধ ১৩ অক্টোবর, রবিবার সন্ধ্যায় একটি অপারেশন পরিচালনা করে, যেখানে হাইফার দক্ষিণে বিনিয়ামিনায় গোলানি ব্রিগেডের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে আক্রমণকারী ড্রোনের একটি স্কোয়াড্রন চালু করা হয়েছিল।"
এই হামলার পর হিজবুল্লাহ আবারও হুমকি দিয়েছে এবং বলেছে যে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী হাইফার কিছু বসতির বাড়ি নিজেদের জন্য ব্যবহার করছে।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "লেবাননে হামলার জন্য অপারেশন রুম হিসাবে ব্যবহৃত ইজরায়েলি ঘাঁটিগুলি হাইফা এবং তাবারাইয়ার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে রয়েছে। এই ধরনের সমস্ত বাড়ি এবং সামরিক ঘাঁটি ইসলামী প্রতিরোধের রকেট এবং বিমান বাহিনীর জন্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু। অতএব, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এখানকার বাসিন্দাদের তাদের জীবন বাঁচাতে এই সামরিক স্থানগুলির কাছে জড়ো হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করছি।”
No comments:
Post a Comment