প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৪ অক্টোবর: স্নায়ুতে ব্যথা মানে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সঠিকভাবে কাজ করছে না।এই অবস্থায় ব্যক্তি নিউরোপ্যাথিক ব্যথায় ভুগতে শুরু করে।নিউরোপ্যাথিক ব্যথা স্নায়ুর যেকোনও অংশে হতে পারে।যেমন- পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র,মেরুদন্ড এবং মস্তিষ্ক।কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের সমন্বয়ে গঠিত।অন্যদিকে পেরিফেরাল স্নায়ুগুলি হল যেগুলি শরীরের অন্যান্য অংশে প্রসারিত,যেমন- অঙ্গ,বাহু,পা,হাতের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল।অর্থাৎ শিরায় কিছু ঘটলে, অস্বস্তি বাড়তে পারে এবং কখনও কখনও সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।এমন পরিস্থিতিতে জেনে রাখা দরকার স্নায়ুর ব্যথা পুরোপুরি নিরাময় করা যায় কি না?নাকি রোগীকে সারাজীবন এই যন্ত্রণা নিয়েই থাকতে হয়?
স্নায়ু ব্যথা সাধারণত খুব বিপজ্জনক নয়।তবে কখনও কখনও এর প্রভাব রোগীর জীবনে খুব গুরুতর হয়।স্নায়ুর ব্যথা সম্পূর্ণরূপে সেরে যায় না।এর প্রভাব কখনও কম কখনও বেশি হয়।ব্যথা কমে গেলেও রোগীর অস্বস্তি হতে পারে,কারণ রোগী সারাক্ষণ ব্যথা অনুভব করতে থাকে।নিউরোপ্যাথিক ব্যথার কারণে একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন প্রভাবিত হতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কার্যকলাপও ব্যাহত হতে পারে। নিউরোপ্যাথিক ব্যথার প্রভাব অবশ্যই কমানো যেতে পারে।এই বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা এবং তাকে আপনার সমস্যাটি বলা গুরুত্বপূর্ণ।তারা এর লক্ষণগুলির প্রভাব কমাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবেন।
নিজের থেকে নিউরোপ্যাথিক ব্যথা কমা কঠিন।এর জন্য আপনাকে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা করাতে হবে।তা সত্ত্বেও এখানে কিছু পরামর্শ আছে,আপনি যদি চান এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেন।এগুলো ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
প্রথমেই জানার চেষ্টা করুন কেন আপনার নিউরোপ্যাথিক ব্যথা হচ্ছে?ডায়াবেটিস,ওষুধ এবং পুষ্টির ঘাটতির কারণেও নিউরোপ্যাথিক ব্যথা হয়।অর্থাৎ নিউরোপ্যাথিক ব্যথার মূল কারণ জেনে সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে।
আপনার যদি নিউরোপ্যাথিক ব্যথা থাকে তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের কাছে যান।তিনি আপনাকে কিছু ওষুধ লিখে দেবেন।সময়মতো সেগুলো নিয়ে যান।এটি ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
অনেক সময় নিউরোপ্যাথিক ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ফিজিক্যাল থেরাপি বা সার্জারির সাহায্য নেওয়া হয়।আপনার অবস্থা দেখার পর ডাক্তার আপনাকে সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
নিউরোপ্যাথিক ব্যথার প্রাথমিক দিনগুলোতে অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা যায়।এগুলো উপেক্ষা করবেন না।লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসা নিন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment