প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ অক্টোবর: বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যবিধির একটি অপরিহার্য অংশ।স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার জন্য এইগুলি কত ঘন ঘন পরিবর্তন করা উচিৎ তা অনেকেই জানেন না।বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী সঠিক সময়ে বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করা শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে না,ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা ও অ্যালার্জিও প্রতিরোধ করে।
কত ঘন ঘন চাদর পরিবর্তন করতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন যে প্রতি সপ্তাহে চাদর পরিবর্তন করা ভালো।যদি আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যদের ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জি থাকে,তবে এই ব্যবধান আরও কম হতে পারে।ঘরের ভিতরের ধূলিকণা,ঘাম এবং মৃত ত্বকের কোষ ক্রমাগত বিছানার চাদরে জমে থাকে।এটি ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যালার্জি তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।এছাড়াও,আপনি যদি পোষা প্রাণী রাখেন এবং তাদের বিছানায় ওঠার অনুমতি দেন,তবে প্রতি তিন-চার দিন পর পর চাদর পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বালিশের কভার কখন পরিবর্তন করবেন?
সপ্তাহে একবার বালিশের কভার পরিবর্তন করাও জরুরি। বিশেষ করে আপনি যদি মুখে ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে ঘন ঘন বালিশের কভার পরিবর্তন করা আপনার ত্বককে ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।প্রতি রাতে আমরা বালিশে আমাদের মুখ থেকে ময়লা,তেল এবং ঘাম ফেলে থাকি।কভার সময়মতো পরিবর্তন করা না হলে,এটি ত্বকের সমস্যা তৈরি করতে পারে।তাই নিয়মিত ধোয়া ও পরিবর্তন করলে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
নিয়মিত পরিষ্কারের সাথে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা -
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে,বিছানার পরিচ্ছন্নতা আমাদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক শান্তির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।নিয়মিত বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করা ঘুমের মান উন্নত করে এবং আমাদের আরও ভালো বোধ করতে সাহায্য করে।গ্রীষ্মে বেশি ঘাম হয়,তাই সে সময় আরও ঘন ঘন চাদর ও বালিশের কভার পরিবর্তন করতে হবে।
কিভাবে পরিষ্কার করবেন?
সবচেয়ে ভালো উপায় হল গরম জলে বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার ধোয়া।এটির সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া,ধুলো এবং অন্যান্য ময়লা কার্যকরভাবে অপসারণ করা যেতে পারে। এছাড়াও,অ্যালার্জি এড়াতে হাইপোঅ্যালার্জেনিক ডিটারজেন্ট ব্যবহার করাও একটি ভালো বিকল্প।
No comments:
Post a Comment